ই এম বাইপাস সংলগ্ন রুবি মোড় থেকে হাওড়া যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন সুকন্যা রায়। সাড়ে আটটায় ট্রেন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এমন যানজট, দু’ঘণ্টা আগে বেরিয়েও ট্রেন ধরতে পারলেন না।
আবহবিদেরা জানান, এ দিন দুপুর থেকে তাপমাত্রা বেশি ছিল। তার প্রভাবে জলীয় বাষ্প গরম হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে উঠে যায় এবং ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির উপরে তৈরি হওয়া সেই মেঘই উড়ে এসেছে মহানগরে। তা থেকেই সন্ধ্যায় জোরালো বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়। শুক্রবার দুপুর-বিকেলে বিশেষ যানজট ছিল না। কিন্তু আচমকা বৃষ্টিতে থমকে যায় পথঘাট।
পুলিশ জানায়, বৃষ্টি শুরু হতেই দক্ষিণ থেকে উত্তর— সর্বত্র পথের গতি মন্থর হয়ে পড়ে। বিশেষত রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, আশুতোষ মুখার্জি রোড, হরিশ মুখার্জি রোড, দেশপ্রাণ শাসমল রোড, শরৎ বসু রোড, এ জে সি বসু রোড, চৌরঙ্গির বিস্তীর্ণ এলাকা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া সেতুও যানজটে আটকে যায়। রাত ন’টা পরে কিছু জায়গায় অবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।