দক্ষিণ কলকাতার কমলা গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল পরিচালন কমিটি। গত ১৯ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি রাজীব শর্মা স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রশাসক বসানোর নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছেন। ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির মেয়াদ আগামী বছরের অগস্ট মাসে শেষ হবে।
স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি দীপলকুমার বসু। তাঁর আইনজীবী এক্রামুল বারি শনিবার জানান, এর আগে গত ৩০ মার্চ বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশের উপরে তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন।
পরিচালন কমিটি ভেঙে প্রশাসক বসানো হয়েছিল কেন?
আইনজীবী এক্রামুলবাবু জানিয়েছেন, গত ৯ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিধানগড়ের কাঙ্খুলি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা রায়কে কমলা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে বদলির সুপারিশ করেছিল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশন এ-ও জানায়, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ ওই শিক্ষিকাকে বদলি করা হচ্ছে।
পরিচালন সমিতির সভাপতি স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চান, ‘বিশেষ পরিস্থতি’র অর্থ কী, কাঙ্খুলি গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি মধুমিতাদেবীকে ছাড়পত্র দিয়েছেন কি না এবং ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক সহকারী সচিব কমলা গার্লস স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানান, শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন রয়েছে ওই শিক্ষিকার বদলিতে।
ইতিমধ্যে স্কুলশিক্ষা দফতর কাঙ্খুলিয়া হাইস্কুলের পরিচালন সমিতিকে নির্দেশ দেয়, মধুমিতাদেবীর বদলির ছাড়পত্র দিতে। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলশিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরকে জানান, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। তাই ছাড়পত্র দেওয়া যাচ্ছে না।
আইনজীবী এক্রামুলবাবু জানান, বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে মামলার শুনানিতে অভিযোগ করা হয়, মধুমিতাদেবীকে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া জন্য জানুয়ারি মাস থেকে একাধিক বার পরিচালন সমিতির সভাপতিকে ফোন করে চাপ সৃষ্টি করেন স্কুলশিক্ষা দফতরের বিভিন্ন অফিসার।
গত ২৭ মার্চ স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনার জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়ে জানান, কমলা গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি ভেঙে দিয়ে দফতরের এক সাব ইনস্পেক্টরকে প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে ৩০ মার্চের মধ্যে প্রশাসকের দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে। ৩০ মার্চই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরিচালন কমিটির সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy