স্ত্রীর মৃতদেহের পাশেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়েছিলেন স্বামী। দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আইসিইউ-তে নাকে নল ঢুকিয়ে চিকিত্সা শুরু করতে যেতেই তিনি সটান উঠে বসে জানালেন, তাঁর কিছু হয়নি। এর পরেই শুরু হয় জেরা। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার, দমদম থানা এলাকার কাঠপোলের পশ্চিম রবীন্দ্রনগরের ঘটনা। মৃতার নাম অঞ্জলি সাহা (৫০)। পুলিশের দাবি, কার্তিক সাহা স্ত্রীকে খুন করার পরে নিজে গলায় ফাঁস দেওয়ার নাটক করেন। এ দিন সকাল থেকেই ওই দম্পতির ঘর থেকে পচা গন্ধ আসায় স্থানীয়েরাই থানায় খবর দেন। স্থানীয়েরা পুলিশকে জানান, মঙ্গলবার রাতের পর থেকে ওই বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল।
পুলিশের অনুমান, দিন দুই আগে অর্থাত্ মঙ্গলবার অঞ্জলিদেবীর মৃত্যু হয়। অঞ্জলিদেবীর দিদি কণিকা পাল বলেন, “জামাইবাবু কিছু করতেন না। পরিবারে অভাব ছিল। এ নিয়ে দিদি-জামাইবাবুর মধ্যে মাঝে মধ্যে অশান্তি হত।” কণিকাদেবী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কার্তিক তাঁদের বাড়িতে এসে বলেন অঞ্জলিকে পাওয়া যাচ্ছে না। পারিবারিক অশান্তির পরে অঞ্জলি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। রাতে ফিরে যান কার্তিক। কণিকাদেবী আরও বলেন, “দিদি ফিরল কি না জানতে দশটা নাগাদ ফোন করলে কেটে দেওয়া হয়। তার পর থেকে ফোন বন্ধ। বুধবার গিয়ে দেখি দরজায় তালা।” পরে বাড়ি ফিরে তিনি তাঁর দাদা ননীগোপাল চক্রবর্তীকে বিষয়টি জানান। ননীগোপালবাবু বুধবার রবীন্দ্রনগরের ওই বাড়িতে এসে দেখেন সামনে ভিড়। ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর পরেই খবর যায় পুলিশে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান সি সুধাকর বলেন, “খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃতকে আরও জেরা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে কী ভাবে এবং কখন মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy