ভরসন্ধ্যায় দোকানে ডাকাতি ও মালিককে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোমবার রেল ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন সোনারপুরের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।
এ দিন সকালে থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত সোনারপুর থানা ঘেরাও করা হয়। আইসি পরেশ দাসকে অপসারণের দাবিও তোলা হয়। সকালে আধ ঘণ্টা শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার রেল অবরোধ করা হয়। সোনারপুর স্টেশন রোড অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। স্থানীয়দের অভিযোগ, থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগেই দুষ্কৃতীরা লুঠের দুঃসাহস দেখিয়েছে। রেলস্টেশন চত্বরের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় লুঠ করে চম্পট দেওয়া দুষ্কৃতীদের পক্ষে সহজ হওয়ার কথা নয়।
ওই দোকানের মালিকের মৃত্যুতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছে সোনারপুর স্টেশন চত্বরের ব্যবসায়ী সমিতি। সুব্রত মণ্ডল ও দীপঙ্কর রায়চৌধুরী নামে ওই দোকানের দুই কর্মচারী দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন। পূজা দে নামে এক পথচারীও গুরুতর আহত হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘সাধারণত ওই এলাকায় টহলদারি ভ্যানের নজরদারি রাখা হয়। হয়তো টহলদারির ফাঁক থেকে গিয়েছিল। খতিয়ে দেখছি।’’
ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, ছ’মাসে প্রায় ৫০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ জানাতে গেলে আইসি দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ তোলেন স্থানীয়েরা। বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে পুলিশ লাঠি নিয়ে তাড়া করে বলে অভিযোগ। এক পুলিশকর্তার কথায়, দুষ্কৃতী ধরা পুলিশের পারদর্শিতার পরিচয় নয়। অপরাধ প্রতিরোধ করাই পুলিশের পারদর্শিতা বলে বিবেচনা করা হয়। বারুইপুর জেলা পুলিশের সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy