শিয়ালদহ এবং কলকাতা স্টেশন থেকে লালগোলাগামী ট্রেনের ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগর স্টেশনেইএমইউ ট্রেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট থামবে বলে জানিয়েছিলেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কাল, বুধবার থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগে আচমকাই সোমবার রেলের তরফে সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার কথাজানানো হয়। রেল সূত্রের খবর, পরিচালনগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত আপাতত কার্যকর করা হচ্ছে না।
শিয়ালদহ এবং কলকাতা স্টেশন থেকে লালগোলার পথে যে ন’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলে, গতকয়েক মাস ধরে তার সব ক’টির পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে লোকাল ট্রেনের ইএমইউ রেকের মাধ্যমে। ওই সব রেকে শৌচাগার না থাকায় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার ২৫০কিলোমিটারের এই যাত্রাপথে যাত্রীদের অনেককে, বিশেষত মহিলা ও প্রবীণদের গুরুতর সমস্যায় পড়তে হয়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জমা পড়ায় দিনকয়েকআগে রেল কর্তৃপক্ষ ওই পথে লোকাল ট্রেনের পরিষেবাকে দু’ভাগে ভেঙে শিয়ালদহ থেকেকৃষ্ণনগর এবং কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা পথে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কৃষ্ণনগর স্টেশনে সর্বাধিক ৩২ মিনিট পর্যন্ত ইএমইউ ট্রেনের বিরতিদেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, তা কার্যকর হওয়ার আগেই সোমবার সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করার কথা জানান রেল কর্তৃপক্ষ। ওইপথে আগের নিয়মেই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
যাত্রীদের অনেকেই রেলের সিদ্ধান্তের এমন খামখেয়ালিপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।যদিও রেল কর্তৃপক্ষ মেমু রেকের অভাব এবং পরিচালনগত সমস্যার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।কুম্ভমেলার জন্য শিয়ালদহ ডিভিশন থেকে নিয়ে যাওয়া মেমু রেক কেন মেলা মিটে যাওয়ার পরে এখনও ফিরিয়ে আনা গেল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পাল্টা যাত্রীদের প্রশ্ন, বিপুল সংখ্যক লোক শিয়ালদহ থেকে লালগোলা পর্যন্ত যাতায়াত করা সত্ত্বেও ওই শাখাকে কেন অবহেলা করা হচ্ছে?
এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় যাত্রীদের চাপ সামলাতে মূলত সন্ধ্যার দিকে বালিগঞ্জ থেকে নামখানাএবং ক্যানিং শাখায় পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে বাড়তি লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ওই পরিষেবা শুরু হচ্ছে।
রেল সূত্রের খবর, এই সূচির আওতায় সোনারপুর-নামখানা শাখায় একটি ট্রেন চালানো হবে।সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে সোনারপুর স্টেশন থেকে একটি লোকাল ট্রেন ছেড়ে রাত ৮টা ৪২ মিনিটে নামখানা পৌঁছবে। বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে নামখানা থেকে একটি বিশেষ লোকাল ট্রেন ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটে বালিগঞ্জে পৌঁছবে।এ ছাড়া, বালিগঞ্জ থেকে রাত ৮টা ৪ মিনিটে ছেড়ে একটি লোকাল ট্রেন রাত ৯টা ১১ মিনিটে ক্যানিং পৌঁছবে। বিপরীতে ক্যানিং থেকেরাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে একটি লোকাল ট্রেন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে বালিগঞ্জ পৌঁছবে। অপর একটি লোকাল ট্রেন রাত ১১টা ২৫ মিনিটে বালিগঞ্জ থেকে ছেড়ে রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে সোনারপুরে পৌঁছবে। নতুন সূচির আওতায় চালু হওয়া লোকাল ট্রেনগুলি অন্তর্বর্তী পথে সব স্টেশনে থামবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)