Advertisement
E-Paper

দড়ি-বিচালি নিয়ে পুকুর সাফাইয়ে পাড়া

পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পুকুরটি কচুরিপানায় ভর্তি। জলে ভাসছে থার্মোকল, প্লাস্টিক-সহ নানা পরিত্যক্ত সামগ্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৩
চলছে পুকুর পরিষ্কার। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।

চলছে পুকুর পরিষ্কার। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।

নারকেল দড়ি টানটান করে ঢালাই রাস্তায় পেতে দিয়েছেন এক জন। কিছুটা দূরে বিচালির আঁটি বাঁধতে ব্যস্ত আর এক জন। সেই বিচালি আঁটির মধ্যে দড়ি ঢুকিয়ে পুকুর সাফাইয়ের একটা অস্ত্র তৈরি হয়ে গেল।

বারবার পুর কর্তৃপক্ষকে বলে কাজ না-হওয়ায় ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে এ ভাবেই রবিবার পুকুর সাফাইয়ে নামলেন দক্ষিণ দমদমের হাজরাপাড়ার বাসিন্দারা।

পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পুকুরটি কচুরিপানায় ভর্তি। জলে ভাসছে থার্মোকল, প্লাস্টিক-সহ নানা পরিত্যক্ত সামগ্রী। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুরের জল এতই নোংরা যে দুর্গন্ধে পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। গত বছর কয়েক জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর সেই পরিস্থিতি ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরাই।

স্থানীয় বৃদ্ধা বকুল মণ্ডল বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের সমস্যা জানিয়ে একাধিক বার পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হল না। এক বার মাটি কাটা হয়েছিল। কিন্তু, সেই মাটি পাড় থেকে তোলার আর সময় হয়নি। বর্ষার জলে নোংরা মাটি মিশে গেল পুকুরে।’’ বাসিন্দারাও জানান, নানা সময়ে এই পুকুরের সংস্কার ঘিরে প্রতিশ্রুতি মিলেছে প্রচুর। কিন্তু কোনওটিই বাস্তবায়িত হয়নি।

এক বাসিন্দা প্রদীপ দলুই বলেন, ‘‘পাড় বাঁধিয়ে গাছ লাগানো কথা বলা হয়েছিল। যাতে কেউ ময়লা ফেলতে না পারেন, সে জন্য পুর প্রতিনিধিরা জাল দিয়ে পুকুরের চারপাশ ঘিরে দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু কোথায় কী?’’ ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মৃত্যুর পরে সেখানে পুনর্নির্বাচন হয়নি। একাধিক বার স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরেও আশানুরূপ কাজ না-হওয়ায় আর এক বাসিন্দা তারু সামন্ত বলেন, ‘‘অন্য ওয়ার্ডে তো পুকুরের সংস্কার হয়!’’

ঠিক এর উল্টো ছবি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের প্রেক্ষিতে বারবার বলেও কাজ না-হওয়ায় আজ, সোমবার ওই ওয়ার্ডের প্রাইভেট রোডে তিনটি বাড়ি ভেঙে সাফাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এক প্রান্তে যখন এই তৎপরতা, তখন অন্য প্রান্তে পুকুর সাফাই নিয়ে বাসিন্দাদের এত অনুযোগ কেন?

২০ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলর অরূপ হাজরা বলেন, ‘‘বাসিন্দারাই সাফাইয়ে নামছেন শুনে পাঁচ জন পুরকর্মীকে সাহায্য করতে পাঠিয়েছি। হাজরাপাড়ার পুকুর একেবারে পরিষ্কার হয় না, তা নয়। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে ফের আগের অবস্থা হয়। আমার ওয়ার্ডের বেদিয়াপাড়ার পুকুরটি তো আরও ভয়াবহ। সেগুলি সাফাইয়ের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। হাজরাপাড়ার পুকুরের মাটি কেটে আমূল সংস্কারের প্রস্তাব রয়েছে। আশা করছি, দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’

Dum Dum দমদম
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy