শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) আন্দোলনের জেরে টানা এক সপ্তাহ নিজের দফতরে যাচ্ছেন না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে।
গত ৫ অগস্ট কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের গাড়ি ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। টানা পাঁচ ঘণ্টা তিনি গাড়ির মধ্যে বসে থেকে তার পরে ফিরে যান। তারও আগে, ২ অগস্ট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্তর্বর্তী উপাচার্য-সহ অন্য আধিকারিকেরা সেই সময়ে সিন্ডিকেট বৈঠক করছিলেন। শেষে রাত ১২টা নাগাদ পুলিশের সাহায্যে তাঁরা বেরোতে পারেন। টিএমসিপির বক্তব্য, অন্তর্বর্তী উপাচার্যের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও তিনি সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে চেয়ার আটকে রেখেছেন। নীল আলো লাগানো গাড়িতে চড়ছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও কার্যত টিএমসিপির এই দাবিকেই সমর্থন করেছিলেন।
টিএমসিপি নেতা অভিরূপ চক্রবর্তী সোমবার বলেন, ‘‘এই বেআইনি অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে কিছুতেই দফতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’ শান্তা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ক্যাম্পাসে বসে কাজ চালাচ্ছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কিছুটা কাজ করতে পারছি। কিন্তু দফতরে না গেলে তো সব কাজ করা যায় না। অন্য ক্যাম্পাসে সেই পরিকাঠামো থাকে না।’’
শান্তা আরও জানান, ক্যাম্পাসে টিএমসিপি-র ওই কার্যক্রমের সময়ে পুলিশ ডাকলেও তিনি যথাযথ সহযোগিতা পাননি। যে বহিরাগতদের নামে এফআইআর করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে যে ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মামলাও করা হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)