E-Paper

সমবায়ের ‘দখল’ নিতে যাদবপুরে দ্বন্দ্ব

হবু প্রার্থী, শিক্ষকদের অনেকে ফর্ম তুলতে গেলে তাঁদের বাধা দিয়ে কার্যত আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪৬
যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়। —ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সমবায়ের আসন্ন ভোট নিয়ে শাসকদলের অনুগামী কর্মীরাই সংঘাতে জড়ালেন বলে অভিযোগ। পূর্বতন নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষের পরেও দু’বছর ভোটের নামগন্ধ নেই। নানা টালবাহানার পরে রাজ‍্য সমবায় দফতরের হস্তক্ষেপেই ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে বলে নির্দেশিকা বেরিয়েছে। তার আগে শাসকদলের অনুগত অশিক্ষক কর্মীরাই বিরোধিতা করছেন বলে অভিযোগ।

যাদবপুরের এই সমবায়টি সাত দশকের পুরনো। ঋণ দেওয়া থেকে নানা দরকারে অশিক্ষক, শিক্ষক কর্মীদের বড় সম্বল। মনোনয়ন প্রক্রিয়া বুধবার শুরু হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। কিন্তু হবু প্রার্থী, শিক্ষকদের অনেকে ফর্ম তুলতে গেলে তাঁদের বাধা দিয়ে কার্যত আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। যাদবপুরের শিক্ষক সমিতির সহ-সম্পাদক রাজ‍্যেশ্বর সিংহ বলেন, “শিক্ষাবন্ধু নামধারী অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ সরকারি নির্দেশের বিরোধিতা করছেন, এটা দুর্লভ। ভবিষ‍্যতেও ওঁরা ভোটে বাধা দিতে পারেন। মুখ‍্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” শিক্ষাবন্ধুদের তরফে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মী বিনয় সিংহ বলেন, “গোলমালের কথা জানা নেই।”

এ দিন অরবিন্দ ভবনের তেতলায় সমবায়ের দফতরে ফর্ম নেওয়ার কথা ছিল। সেই সময়েই হবু প্রার্থীরা বাধার মুখে পড়েন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ‍্যাপক গুপিনাথ ভান্ডারী চলাফেরায় প্রতিবন্ধী। তিনিও রেহাই পাননি বলে অভিযোগ। গুপিনাথ বলেন, “শিক্ষাবন্ধুদের বাধায় ফর্ম দেওয়া হচ্ছিল না। দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়।” অনেকেই ফর্ম পাননি বলে জানা গিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Co Operative Election

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy