এখানেই বসবে কম্প্যাক্টর। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
ক’দিন আগেও যোধপুর পার্ক ডাকঘরের কাছ দিয়ে যেতে গেলেই মুখে রুমাল দিয়ে যেতে হত। রাস্তার ওপরেই যত্রতত্র জঞ্জাল ছড়ানো থাকত। দুর্গন্ধে টেকাই দায় ছিল। অবশেষে এই জায়গায় বসতে চলেছে কম্প্যাক্টর। এ ভাবে জঞ্জাল ফেলার সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘আগে এখানে ছিল খোলা ভ্যাট। এত দিন এলাকায় নির্দিষ্ট কোনও জঞ্জাল ফেলার জায়গা ছিল না। তাই সমস্যা হত। কম্প্যাক্টর মেশিন বসালে এই সমস্যা আর থাকবে না।’’ কম্প্যাক্টরে আবর্জনা থেকে জলীয় অংশ শুষে নেওয়ার ফলে আবর্জনার পরিমান অনেকটা কমে যায়। ফলে অনেক ময়লা কম্পাক্টরে জমা হয়। পাশাপাশি দুর্গন্ধও কম ছড়ায়।
যোধপুর পার্ক এলাকায় কম্প্যাক্টর বসানোর পরিকল্পনা অনেক দিন আগেই ছিল। কিন্তু এই প্রকল্প বাস্তবায়িত যায়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, কম্প্যাক্টর নির্মাণ করতে নূন্যতম ২০০ বর্গফুট এলাকা প্রয়োজন। কিন্তু এখানে কম্প্যাক্টর তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে, পুরসভা ওই অঞ্চলে এই প্রকল্পের জন্য একটি সংস্থার কাছ থেকে জমি চায়। প্রথমে পুরসভাকে এই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে রাজি থাকলেও পরে ওই সংস্থাটি সরে যায়। ফলে, এই প্রকল্প আটকে থাকে।
যোধপুর বাজার কাছেই। সেই বাজারের ব্যবসায়ীদের একটি শৌচাগার নির্মাণের দাবি ছিল। তাঁদের অনুরোধ রেখেই যোধপুর ডাকঘরের পাশেই শৌচাগার তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু জজ্ঞাল ফেলার জায়গা না থাকায় শৌচাগারের সামনেই জমে যাচ্ছিল আবর্জনা। যদিও পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, আবর্জনা সঙ্গে সঙ্গেই পরিষ্কার করা হয়। কম্প্যাক্টর বসানোর জন্য জায়গা পেতে সেই শৌচাগার ভেঙেই আপাতত কম্প্যাক্টর তৈরি করতে হচ্ছে বলে পুর আধিকারিক জানান।
যোধপুর পার্কের এক বাসিন্দা স্মরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘‘রাস্তায় আবর্জনা পড়ে থাকার ফলে দুর্গন্ধ ছড়ায়। একটু হাওয়া দিলেই চারদিকে এই আবর্জনা ওড়ে। পুরসভাকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।’’ সম্প্রতি, এই নির্মাণ শুরু হওয়ার ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy