Advertisement
E-Paper

‘হুমকি সংস্কৃতি’: আরজি কর তপ্ত, ১২ জনকে তলব তদন্ত কমিটির, বাইরে স্লোগান জুনিয়র ডাক্তারদের

আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫১ জনকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৬
আরজি কর হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

আরজি কর হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। —ফাইল চিত্র।

আবার উত্তপ্ত আরজি কর হাসপাতাল। ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে আবার প্রতিবাদে নেমেছেন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে চলছে স্লোগান। হাসপাতালে হুমকি দিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে, তাঁদের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছে। অভিযুক্ত ১২ জনকে বুধবার হাসপাতালে তলব করে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার মাঝেই বাইরে বসে স্লোগান দিতে শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।

আরজি কর হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’তে অভিযুক্ত হয়েছিলেন চিকিৎসক, হাউসস্টাফ, ইন্টার্ন-সহ মোট ৫১ জন। মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন আরজি কর কর্তৃপক্ষ। বুধবার সেই কমিটির ডাকেই হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছন ১২ অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসক। অভিযুক্তদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১২ অভিযুক্তকে প্রশাসনিক ভবনের শব্দনিরোধক ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তদন্ত কমিটির সদস্যেরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। খবর পেয়ে ওই ঘরের বাইরে জড়ো হন প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসকেরা। একটি ফাঁকা জায়গায় বসে তাঁরা ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আবহেই হাসপাতালের ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কয়েক জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে ৫১ জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের হাসপাতালে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, যত দিন পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শেষ না হচ্ছে, তত দিন তাঁরা হাসপাতালে প্রবেশ করবেন না।

যাঁদের বিরুদ্ধে আরজি করে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, সন্দীপ হাসপাতালে নিজের ‘প্রভাব’ বিস্তার করে নানা ‘দুর্নীতি’, ‘অপকর্ম’ করতেন। তাঁর ঘনিষ্ঠেরা দাপিয়ে বেড়াতেন হাসপাতালে। উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্যে আসে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-র নাম। অভিযুক্তদের দফায় দফায় হাসপাতালে তলব করছে তদন্ত কমিটি। বুধবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে হাসপাতালে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল।

RG Kar Protest Threat Culture R G Kar Medical College R G Kar Medical College And Hospital Incident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy