আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচিতে আইন ভাঙার অভিযোগে বেশ কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়াকে তলব করেছিল পুলিশ। সেই মতো সোমবার দুই থানায় হাজিরা দিলেন দুই জুনিয়র ডাক্তার। পাশে রইলেন নির্যাতিতার বাবা-মাও।
সোমবার দুপুরে জুনিয়র চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় এবং ইন্টার্ন ঋতব্রত ঘোষ বৌবাজার থানায় হাজিরা দিয়েছেন। এ ছাড়া, আরও এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা থাকায় তিনি আসেননি। পুলিশকে ইমেল করে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, আন্দোলনে থাকা ডাক্তারদের পুলিশি তলবের প্রতিবাদে বৌবাজার থানায় বিক্ষোভ দেখায় ডাক্তারদের কয়েকটি সংগঠন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ইচ্ছাকৃত ভাবে ডাক্তারদের চিহ্নিত করে তলব করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুন:
২০২৪ সালে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি চলাকালীন জুনিয়র ডাক্তারেরা বিভিন্ন আইন ভাঙেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তলব করা হয় কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তারকে। চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানান, গত বছর ধর্মতলায় অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধারা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেআইনি জমায়েত, পুলিশের কাজে বাধাদান, মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি, পুলিশকে আঘাত ইত্যাদি অভিযোগে জামিন-অযোগ্য ধারায় দায়ের করা মামলাও রয়েছে। তবে এ ভাবে ভয় দেখিয়ে আন্দোলনকে দমন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন দেবাশিস। এত দিন পর কেন নোটিস পাঠানো হল, সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই ঘটনাকে ‘প্রতিহিংসামূলক’ আচরণ বলেও দাবি করছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।