কমানো হচ্ছে আলোর রোশনাই। ভোগের আয়োজনের পরিকল্পনাও বাদ। একে অপরকে টেক্কা দিয়ে নামী-দামি শিল্পীদের দিয়ে জলসাও বাতিল। দর্শক-শূন্য রাখার নির্দেশ আসবে ধরে নিয়ে প্রায় কোথাওই মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। করোনা আবহের দুর্গাপুজো থেকে খানিক ঠেকে শিখেই কালী বন্দনায় তৈরি হচ্ছে শহর।
তবে উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এ বার স্পনসরের অভাবে কালীপুজোর জৌলুস কমছে সব জায়গায়। আমহার্স্ট স্ট্রিট, কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের নব যুবক সঙ্ঘের পুজো যা ফাটাকেষ্টর পুজো নামে পরিচিত, এ পর্যন্ত স্পনসর পায়নি। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা ধনঞ্জয় ধরের মন্তব্য, ‘‘বহু মানুষ কলকাতার কালীপুজো বলতে আমাদের পুজোই বোঝেন। এই ক্লাবের আসল নামটাই অনেকে জানেন না। করোনার জন্য পুজোর জৌলুস কমাতে হবে মানলাম। কিন্তু এত বড় পুজোও স্পনসর পাবে না!”
পুজোর আর এক উদ্যোক্তা প্রবন্ধ রায় (ফান্টা) আবার বললেন, “আমাদের চিন্তা প্রতিমার গলার মালা নিয়ে। হাজার হাজার লোক এসে লক্ষ লক্ষ টাকার ওই সব মালা পরান। এ বার করোনার মধ্যে সে সব হবে কী করে? পুলিশ কি আদৌ অনুমতি দেবে?” এ বার সেখানে জলসা ও ভোগের আয়োজন বাদ। মণ্ডপের উচ্চতাও কমতে পারে। মণ্ডপের গেট এমন ভাবে তৈরি হবে যাতে বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করা যায়।