— ফাইস চিত্র
মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। ভিড় করে প্রতিমা আনা বা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কোনও রকম বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো চলবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এত কিছুর মধ্যেও বদল আসেনি একটি রেওয়াজে। তা হল, রাস্তা আটকে মণ্ডপ তৈরি! অভিযোগ, ওই মণ্ডপের আশপাশ দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার মতো জায়গাও রাখা হয়নি। এবং সব দেখেও উদাসীন পুলিশ।
‘ফাটাকেষ্টর পুজো’ নামে পরিচিত মধ্য কলকাতার নব যুবক সঙ্ঘের মণ্ডপ প্রতি বারের মতো এ বারও তৈরি হয়েছে সীতারাম ঘোষ স্ট্রিট জুড়ে। পরিস্থিতি এমনই যে, অ্যাম্বুল্যান্স তো দূর, আদালতের নির্দেশ মেনে মণ্ডপে প্রবেশ বন্ধ করতে হলে ওই গলি দিয়ে পাড়ার লোকের যাতায়াতই বন্ধ হয়ে যাবে। উদ্যোক্তারা তাই পুজোর আগের রাতেও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী করা হবে। পুজোকর্তা প্রবন্ধ রায় বললেন, ‘‘দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করব, না কি মণ্ডপের মধ্যে কিছুটা দূর পর্যন্ত প্রবেশ করাব, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব। তবে পাড়ার লোকের এ বার একটু সমস্যা হবেই।’’
রাস্তা বন্ধ করে কালীপুজোর মণ্ডপ করলেও পাড়ার লোকের সমস্যায় তেমন আমল দিতেই রাজি নন রাজ্যের বিধায়ক পরেশ পাল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বছর তো এমনই মণ্ডপ হয়। দু’দিনের পুজোর জন্য অত সমস্যার কথা ভাবলে চলে না।’’ রাস্তা আটকে তৈরি করা মণ্ডপ নিয়ে একই রকম উদাসীন চেতলা, আলিপুর এবং কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন একাধিক পুজোর উদ্যোক্তারাও। টালিগঞ্জ মুর অ্যাভিনিউয়ের রসা শক্তি সেবক সঙ্ঘের উদ্যোক্তা জিৎ রায়ের আবার দাবি, ‘‘রাস্তা না আটকালে কালীপুজো হয় নাকি! আমাদের মণ্ডপ রাস্তার ধারের কিছুটা ফাঁকা জায়গায় হলেও প্রতি পাড়ায় এত পুজো হয় যে, রাস্তা না আটকে উপায় থাকে না। সকলের অত ফাঁকা জায়গা কোথায়?’’ চেতলা হাট রোডের এক কালীপুজোর কর্তার মন্তব্য, ‘‘উৎসবে মানুষ ভালই থাকেন। খুব সমস্যা হলে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ঠিক রাস্তা বার করে দেওয়া যাবে।’’
রাস্তা আটকে মণ্ডপের অনুমতি দেওয়া নিয়ে লালবাজারের তরফে কেউই মুখ খুলতে চাননি। পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা শুধু জানিয়েছেন, ক্লাবগুলিকে সব রকম বিধি মেনে পুজো করতে বলার নির্দেশ দেওয়া ছিল থানা স্তরে। সেই নির্দেশের পরেও বাস্তব চিত্র এমন কেন? উত্তর মেলেনি পুলিশ কমিশনারের কাছেও।
আরও পড়ুন: আহত যুবক, বিতর্কে পুলিশ
বাগমারি রোডে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়ির সামনেও কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে রাস্তা আটকে। ওই পুজোর কর্তা কিশোর ঘোষ বললেন, ‘‘বাজি ফাটানো এবং দর্শক প্রবেশের মতো পরের বার রাস্তা আটকে মণ্ডপ নিয়েও মামলা হোক। বিকল্প জায়গা পেলে আমাদেরই ভাল। তত দিন এ ভাবেই চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy