শেষবেলায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণ নতুনকে শুভেচ্ছা জানান। ফাইল চিত্র।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন। ধন্যবাদ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামই নিলেন না পর্ষদের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বস্তুত, দীর্ঘ ১০ বছর সভাপতির পদে থাকা কল্যাণকে কাজ করতে হয়েছে পার্থের সঙ্গেও। শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে যখন রাজ্য তোলপাড়, তখন কল্যাণময়ের এই আচরণ তাৎপর্যমূলক বলেই মনে করছে শিক্ষা দফতর।
২০১২ সালের ২ অগস্ট থেকে চলতি বছরের ২১ জুন পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন কল্যাণময়য়। তাঁর ছেড়ে যাওয়া পদে এসেছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ছিলেন। সম্প্রতি শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আগামী এক বছরের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকবেন রামানুজ। স্কুলে শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কল্যাণের বিরুদ্ধে। তাঁর নির্দেশে বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল বলে জানায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তৈরি প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটি। ওই মামলায় কল্যাণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তার পরও পর্ষদের সভাপতি পদে তিনি থাকায় প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কল্যাণময় অবশ্য জানান, তাঁকে নিয়ম মেনেই সরতে হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৬৮ বছর বয়স পর্যন্ত কার্যকালের মেয়াদ হলেও তাঁকে প্রায় অতিরিক্ত এক বছর ভার সামলাতে হয়েছে। এখন তাঁর বয়স ৬৯ বছর তিন মাস।
নতুন সভাপতিকে দায়িত্বভার দিয়ে কল্যাণময় বলেন, ‘‘রামানুজ সঠিক দায়িত্ব পেয়েছেন। ১০ বছর কাজ করেছি। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ধন্যবাদ।’’ কিন্তু সেখানে এক বারও তিনি পার্থের নাম নিলেন না। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কল্যাণময়ের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘এটা বিচারাধীন বিষয়। তবে পর্ষদ কলঙ্কমুক্ত হবে।’’
দায়িত্ব পেয়ে রামানুজ বলেন, ‘‘এত দিন অ্যাকাডেমিক পদে ছিলাম। প্রশাসনিক পদে নতুন। এখন কাজ বুঝে নিচ্ছি। আশা করি, ভালভাবেই কাজ করতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy