Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

যুবককে ‘মারধর’, অধরা অভিযুক্তেরা

পুলিশ সূত্রের খবর, কড়েয়ার সামসুল হুদা রোডের বাসিন্দা বছর পঁচিশের মহম্মদ আয়েশকে মারধর করা হয়েছে জানিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ করে তাঁর পরিবার।

এ ভাবেই আয়েশকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই আয়েশকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪৭
Share: Save:

পাড়ার রকে কে বসবে, তা নিয়ে গোলমাল। এর জেরে এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে কড়েয়া থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, কড়েয়ার সামসুল হুদা রোডের বাসিন্দা বছর পঁচিশের মহম্মদ আয়েশকে মারধর করা হয়েছে জানিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। বাড়ির লোকের দাবি, ওই দিন সকালে পাড়ার মোড়ে দুধ আনতে গিয়েছিলেন আয়েশ। তখনও দুধের গাড়ি এসে না পৌঁছনোয় নিজের লাইন রেখে পাশেই একটি রকে গিয়ে বসার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেখানে বসে থাকা কয়েক জন যুবক আয়েশকে বসতে দিতে রাজি হননি। তা নিয়ে বচসার জেরে তাঁকে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

আয়েশের দিদি সানা আসিফ শুক্রবার বলেন, “ওরা ভাইকে বেধড়ক মেরেছে। ভারী কিছু দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। ভাই ওখানেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। রাস্তার লোকজন ওকে বাড়ি পৌঁছে দেন।” এর পরেই তাঁরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে চান বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ আহত আয়েশকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়।

ঘটনার পাঁচ দিন পরেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন আয়েশের বাবা, পেশায় চামড়ার সামগ্রীর ব্যবসায়ী মহম্মদ আসিফ। কড়েয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ঘটনাস্থলের কাছেই একটি সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। তার ফুটেজ আমরা পেয়েছি। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Beating Karaya Police Station Youth
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE