E-Paper

‘ম্যান-মেড’ অগ্নিকাণ্ড: শুভেন্দু, গাফিলতি ওড়ালেন দমকলমন্ত্রী

নিজের বিধানসভা এলাকার মধ্যেই খিদিরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ০৫:১৪

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় পর পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তীব্র হচ্ছে চাপানউতোর। এ বার খিদিরপুর বাজারের অগ্নিকাণ্ডকে ‘ম্যান মেড’ ও পরিকল্পনামাফিক বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় মঙ্গলবার অবশ্য রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, সরকার ও দমকলের কোনও গাফিলতি ছিল না।

নিজের বিধানসভা এলাকার মধ্যেই খিদিরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও। এর পরে এ দিন দলের বিধায়কদের একাংশ, দলের নেতা অর্জুন সিংহ, শঙ্কুদেব পন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে সকালে খিদিরপুরে যান বিরোধী দলনেতা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দুর তোপ, “খিদিরপুরে ম্যান-মেড অগ্নিকাণ্ড। পরিকল্পনামাফিক আগুন লাগানো হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী এলাকায় গিয়ে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলেছিলেন। সেই সূত্র ধরে শুভেন্দুর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী এক লক্ষ টাকা নিয়ে অন্য এলাকায় চলে যেতে বলছেন (ক্ষতিগ্রস্তদের)। আগুন লাগিয়ে জমি খালি করে তা বিক্রি করে দেওয়া হবে। গরিব মানুষের গঙ্গাযাত্রা আর বড়লোকেদের আবাসন হবে। টিএমসি মানে টাকা মারা কোম্পানি!” এক লক্ষ নয়, ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান শুভেন্দু।

অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ উস্কে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে দলীয় সভা শেষে তিনি বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পাচ্ছি, ওখানে ফিরহাদ হাকিম কাছের এক ব্যবসায়ীকে দিয়ে আবাসন করতে চান। ওঁর অলিখিত ভাগ আছে। আগুন লেগেছিল না লাগানো হয়েছিল, সেই তদন্ত হওয়া উচিত।”

যদিও সরকারের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গাফিলতির যে অভিযোগ বিরোধীরা তুলছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত। বিধানসভায় তিনি বলেছেন, “ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। জল, দমকলের ইঞ্জিনে তেল ছিল ছিল না বলে যা বলা হচ্ছে, তা অসত্য। রাত ২টো ৫-এ প্রথম খবর আসে। ৩টের মধ্যে আমরাও জানি। ২০টা ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। আদিগঙ্গা থেকে জলের সঙ্গে কিছুটা মাটি ঢুকে গিয়েছিল। ঠিক করা হয়েছে।” তিনি এ-ও জানান, মুখ্যমন্ত্রী ঘটনা নিয়ে যে রিপোর্ট চেয়েছিলেন, তা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Khidirpur Suvendu Adhikari Sujit Basu Fire Incident

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy