Advertisement
E-Paper

করোনা জুজু! আঁতুড়ঘরে নজরদারিতে বাধা পুরকর্মীদের, ডেঙ্গি রুখতে সচেতনতাই দাওয়াই

শহরবাসী ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার বিষয়ে সচেতন না হলে, আগামী দিনে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ১৯:২৯
শনিবার কলকাতা পুরসভায় ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র।

শনিবার কলকাতা পুরসভায় ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র।

ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে নজরদারিতে ধাক্কা খাচ্ছে পুরসভা। বাড়ির আনাচে-কানাচে জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্মাচ্ছে কি না, তা জানতেই পারছেন না পুরকর্মীরা। সৌজন্যে করোনা।

শহরবাসী ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার বিষয়ে সচেতন না হলে, আগামী দিনে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সচেতনতাই ডেঙ্গির বিরুদ্ধে একমাত্র দাওয়াই বলে মনে করছেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়: “একা পুরসভার পক্ষে ডেঙ্গি মোকাবিলা সম্ভব নয়। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। অনেকেই করোনা আতঙ্কে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না। জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্মাচ্ছে কি না, তা কী করে জানবে পুরকর্মীরা? শহরবাসীকেই সচেতন হয়ে নিজের বাড়ি এবং আশপাশ এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমতে দেওয়া যাবে না।”

ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি করোনার যোগ না থাকলেও, আতঙ্কে পুরকর্মীদের বাড়ির চত্বরে ঢুকতে না দেওয়া উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগ। ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে অতীন ঘোষের। প্রতিটি বরোর সঙ্গে আলোচনা করে, কী ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তার রণকৌশল ঠিক করছেন। সচেতনার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’

করোনার মধ্যেও ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন হওয়া দরকার। —ফাইল চিত্র।

কলকাতায় এখনও পর্যন্ত কত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন? সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, “আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” প্রাক্তন মেয়র আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জনের মতো ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে সেই সংখ্যাটা পাঁচশো ছাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: কোভিডে সুস্থ হওয়ার হার কেন বাড়ছে দেশে? ভাইরাসের ভয় এখনও কতটা?​

আরও পড়ুন: করোনা দমনে ফ্যাভিপিরাভির উৎপাদনে ছাড়পত্র দিল ভারত​



দুই ক্ষেত্রেই জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। ফলে করোনা এবং ডেঙ্গি অথবা ম্যালেরিয়ার রুক্ষতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আরএনএ ভাইরাস গোত্রের হলেও শ্রেণিচরিত্র আলাদা। ডেঙ্গি হল আর্বো ভাইরাস। আর করোনা হল সার্স শ্রেণিভুক্ত। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যে কোনও সংক্রমণই মানবদেহের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।

ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার সহাবস্থানে কী পরিণাম হয় সেই সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গি-কোভিড এক সঙ্গে হলে, তার প্রভাব সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা কম। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

Firhad Hakim KMC Dengue Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy