প্রতীকী ছবি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে পুরসভার বর্তমান ছোট কন্ট্রোল রুমটিতে বসে কাজ করতে সমস্যা হয় পুর আধিকারিকদের। তাই এ বার
নবান্নের ধাঁচে আধুনিক মানের কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হবে কলকাতা পুরভবনে। পুরসভা সূত্রের খবর, পুর ক্যান্টিনের পাশে লাইসেন্স দফতরের একাংশে এই নতুন কন্ট্রোল রুম তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। পুরো প্রকল্প বাবদ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
পুরসভার আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, স্থানাভাবের কারণে এখনকার কন্ট্রোল রুমটিতে অনেকে মিলে একসঙ্গে বসতে ও কাজ করতে রীতিমতো অসুবিধা হয় তাঁদের। তাই নতুন কন্ট্রোল রুম তৈরি হবে আড়াই হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে। ওই কন্ট্রোল রুম তৈরির দায়িত্ব বর্তেছে পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাঁধে। সর্বোপরি এডিবি-র টাকায় এই কাজ হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, অতিবৃষ্টিতে শহরের বেশির ভাগ অংশ ডুবে গেলে সেই সব এলাকার তথ্য পুরনো কন্ট্রোল রুম মারফত পেতে এত দিন সমস্যা হচ্ছিল। ভারী বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে শহরের ছবি সেই কন্ট্রোল রুমে দেখা যেত না। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুরনো কন্ট্রোল রুমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা আধুনিক মানের না হওয়ায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী-আধিকারিকেরা ফোনে তথ্য জানতেন। কিন্তু নতুন কন্ট্রোল রুমের কাজ শেষ হলে বিভিন্ন নিকাশি পাম্পিং স্টেশনের ছবি-সহ শহরের যে যে এলাকায় জল জমে থাকবে, সেখানকার ছবি কন্ট্রোল রুমের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, নয়া কন্ট্রোল রুমে প্রায় ১০টি স্ক্রিন থাকবে। পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নয়া কন্ট্রোল রুমে আধুনিক মানের সফ্টওয়্যার বসানো হবে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের সুবিধাও থাকবে। ভারী বৃষ্টিতে কোন এলাকায় কতটা জল জমেছে, তা-ও ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, নতুন কন্ট্রোল রুম তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ। যে জায়গায় কন্ট্রোল রুমটি তৈরি হবে, এখন সেখানে লাইসেন্স দফতরের কর্মীরা কাজ করছেন। পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ওঁদের শীঘ্রই অন্যত্র সরানো হবে। বর্ষার আগেই নয়া কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy