Advertisement
E-Paper

Air Pollution: দূষণ কমাতে ডেঙ্গি-মডেল অনুসরণের পুর ভাবনা

অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, খাতায়কলমে গোটা শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিস্তর ফাঁক থেকে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:০৩
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ডেঙ্গি-মডেলকে অনুসরণ করেই এ বার শহরের বায়ুদূষণ কমাতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। ডেঙ্গি প্রতিরোধে যেমন ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি চালানো হয়, তেমনই ওয়ার্ডভিত্তিক দূষণ নিয়ন্ত্রণকে ‘পাখির চোখ’ করা হবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর।

পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, খাতায়কলমে গোটা শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিস্তর ফাঁক থেকে গিয়েছে। কারণ, এস এন ব্যানার্জি রোডের কেন্দ্রীয় পুরভবনে বসে গোটা শহরের বায়ুদূষণ-সহ সার্বিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা বাস্তবসম্মত নয়। সেই কারণেই পরিকল্পন‌ায় খানিক পরিবর্তন করে এলাকাভিত্তিক দূষণ নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবা হচ্ছে।

নতুন পুরবোর্ডের পরিবেশ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অনুমোদন পেলে প্রতিটি বরোয় একটি করে পরিবেশ সেল খোলা হবে। অর্থাৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচির বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। না-হলে শহরের ঊর্ধ্বমুখী দূষণের রেখচিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা ক্রমশ মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

স্বপনবাবুর কথায়, ‘‘গোটা শহরের পরিবর্তে কী ভাবে ওয়ার্ডের বায়ুদূষণ, ধুলো-ধোঁয়ার দূষণ, নির্মাণস্থলের দূষণ, আবর্জনা পোড়ানোর দূষণ কমানো যায়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তাতেই সারা শহরের বাতাসের মানের উন্নতি হবে।’’

যার পরিপ্রেক্ষিতে পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ অনেকটাই ডেঙ্গি-মডেলের অনুরূপ। কারণ, ডেঙ্গি প্রতিরোধেও কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘোরার সুপারিশ করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কোথায় জল জমে রয়েছে বা আবর্জনা পড়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে কাউন্সিলরদেরই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। এ বার দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও সেই একই মডেল অনুসরণের কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ, এক জন কাউন্সিলর যে ভাবে নিজের ওয়ার্ডকে জানেন-চেনেন, সেটা অন্য কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কোন রাস্তায় গাড়ি চলাচলের কারণে ধুলোবালি বেশি, কোথায় নির্মাণকাজের জন্য দূষণ হয়— তা এক জন কাউন্সিলরই ভাল জানবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্তা বলছেন, ‘‘শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলরদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। কারণ কেন্দ্রীয় পুরভবন থেকে সার্বিক দূষণের খুঁটিনাটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’’ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হতে পারে। স্বপনবাবুর কথায়, ‘‘মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। তিনি অনুমতি দিলে এক জন পরিবেশবিদকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হবে।’’

Air pollution KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy