রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো। ফাইল চিত্র
আগামী মাসের দু’তারিখেই ছট পুজো। ওই পুজো উপলক্ষে প্রতি বছর কত পুণ্যার্থী রবীন্দ্র সরোবরে আসেন, তার নির্দিষ্ট হিসেবই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের কাছে নেই! ফলে বিকল্প জায়গায় ছট পুজোর জন্য কত জন পুণ্যার্থীর ব্যবস্থা করা হবে তা নিয়ে ফাঁপরে পড়েছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
এই সমস্যার সমাধানে সরোবরের আশপাশের পুর এলাকায় যে কাউন্সিলরেরা রয়েছেন, তাঁদের পুণ্যার্থীর তালিকা তৈরি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পরেই ওই তালিকা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেএমডিএ সংস্থার সিইও অন্তরা আচার্য জানান, পরিবেশ আদালত রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ কেএমডিএ মানতে বাধ্য। তবে কত সংখ্যক পুণ্যার্থী বিকল্প জায়গায় থাকবেন, তার কমবেশি হিসেব পাওয়া গেলে সুবিধা হত। তাঁর কথায়, ‘‘সরোবরের প্রতি গেটে পোস্টার এবং ব্যানার লাগানো হবে। তা ছাড়া মাইকে প্রচার চালিয়ে এ ব্যাপারে সচেতন করাও চলছে। ইতিমধ্যেই এলাকার কয়েক জন কাউন্সিলরদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।’’
রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে ছট পুজোর অনেক পুণ্যার্থীই রয়েছেন। এলাকায় বাড়ি প্রতি কত জন সদস্য আছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে জমা দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে।’’ কলকাতা পুরসভার ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই কেএমডিএ-কে সব সাহায্য করব।’’
কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিলেন, সচেতনতার প্রচার সত্ত্বেও যদি কোনও পুণ্যার্থী পুজো করতে সরোবরে যান, তাঁদের গাড়িতে করে বিকল্প জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সঙ্গেও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে।
কোনও পুণ্যার্থী যাতে সরোবরে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য পুলিশ ছাড়াও অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কেএমডিএ। পাটুলি এবং বাইপাসের ধারের যে জলাশয়ে ছট পুজো হওয়ার কথা, সেগুলি চলতি সপ্তাহেই পরিদর্শন করবেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy