Advertisement
E-Paper

রবীন্দ্র সরোবরে মাছ ধরা নিয়ে ফাঁপরে কেএমডিএ

কেএমডিএ সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগেই সরোবরে প্রচুর মাছ মারা গিয়েছিল। সেই সময়ে সরোবরের জলের নমুনা পরীক্ষা করা ছাড়াও মৎস্য দফতর-সহ বিভিন্ন দফতর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের দিয়ে সরোবরে মাছ মারা যাওয়ার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হয়।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০১:৪২
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কয়েক বছর আগে রবীন্দ্র সরোবরে মাছ মারা যাওয়ার পরেই মৎস্য দফতর থেকে মাছের বৃদ্ধি এবং সংখ্যা ঠিক রাখতে মাছ ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একই সঙ্গে সেখান থেকে মাছ না ধরার শর্ত থাকায় ফাঁপরে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেনে বেশ কিছু মাছ মরে যাওয়ার পরে টনক নড়েছে প্রশাসনের। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, কী ভাবে সরোবর থেকে মাছ ধরা যাবে, তা নিয়ে মৎস্য বিশেষজ্ঞ-সহ সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের পরে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই আধিকারিক আরও জানান, রবীন্দ্র সরোবরে বিভিন্ন সংস্থার তরফে মাছ ছাড়া হয়। একটি সংস্থা ইতিমধ্যেই শর্ত আরোপ করেছে যে সেখান থেকে মাছ ধরা যাবে না। সেই নিয়ম মেনেই সরোবরের জলে মাছ ছাড়া হয়েছে। তাই মাছ ধরার নির্দেশিকা থাকলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগেই সরোবরে প্রচুর মাছ মারা গিয়েছিল। সেই সময়ে সরোবরের জলের নমুনা পরীক্ষা করা ছাড়াও মৎস্য দফতর-সহ বিভিন্ন দফতর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের দিয়ে সরোবরে মাছ মারা যাওয়ার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হয়। কেএমডিএ-র দাবি, মৎস্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সরোবরের প্রচুর পরিমাণে শ্যাওলা থাকায় জলে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছিল। আর তার ফলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। শ্যাওলা পরিষ্কার করা ছাড়াও মাঝেমধ্যে মাছ তুলে ফেলা দরকার বলে রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, নির্দিষ্ট জায়গায় যদি মাছের সংখ্যা বেশি হয়ে যায় তা হলেও অক্সিজেনের অভাবে মাছ মারা যেতে পারে।

রাজ্য মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিশেষজ্ঞ আব্রাহাম বলেন, ‘‘সরোবরে সুষ্ঠু ভাবে মাছ রাখতে গেলে মাঝেমধ্যে মাছ তুলে ফেলা খুবই জরুরি। এই বিষয়ে সরোবর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। তা ছাড়াও, অসময়ে বৃষ্টি হলে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কমে যাওয়ায় মাছ মরার সম্ভাবনা থেকেই যায়।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সরোবর কর্তৃপক্ষ জানান, যে সংস্থা মাছ ছাড়ে, সেই সংস্থার শর্ত ছাড়াও রবীন্দ্র সরোবরে মাছ তোলার ক্ষেত্রে অন্য সমস্যাও রয়েছে। সরকারি জায়গায় কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে মাছ ধরার জন্য লিজ় দেওয়া যায় না। তাছাড়া যে সংস্থাকে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হবে, সেই সংস্থা সরোবরের জল কতটা পরিষ্কার রাখবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Rabindra Sarovar Fishing KMDA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy