প্রতীকী ছবি।
ই এম বাইপাসের উপরে দিন দিন গাড়ির চাপ বাড়ছে। সেই চাপ সামাল দিতে আর একটি বাইপাস করা সম্ভব নয়। তাই রুবি মোড়ের কাছে নতুন একটি উড়ালপুল করা খুব জরুরি বলে মনে করছে কেএমডিএ। সেই কথা মাথায় রেখে রুবির কাছে, কালিকাপুর থেকে পঞ্চান্নগ্রাম পর্যন্ত একটি উড়ালপুল তৈরি করা সম্ভব কি না, খতিয়ে দেখতে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে কেএমডিএ। এই সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটসকে। রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশন সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ফিজ়িবিলিটি রিপোর্ট কেএমডিএ-র কাছে জমা দেবে রাইটস।
কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই উড়ালপুল তৈরি নিয়ে আগ্রহী। তিনিই সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো কেএমডিএ তৎপর হয়েছে। দফতরের এক কর্তা জানান, প্রস্তাবিত এই উড়ালপুল লম্বায় হবে দু’কিলোমিটার। তিন লেনের উড়ালপুল চওড়ায় হবে ১১ মিটার। প্রাথমিক ভাবে খরচ ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা।
রাইটস এবং কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারেরা এই উড়ালপুল কেন জরুরি, তা নিয়ে দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। এক ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, রুবি মোড় থেকে নরেন্দ্রপুর পর্যন্ত বাইপাসের দু’ধারে বড় বড় বহুতল আবাসন তৈরি হচ্ছে। শহরের পরিসর বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাইপাসে বাড়ছে যানজট। দ্রুত বাইপাসের বিকল্প না পেলে ভবিষ্যতে বাইপাসে গাড়ি চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কী ভাবে হবে উড়ালপুলটি? রাইটসের এক ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, গড়িয়া থেকে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ চলছে বাইপাস ধরে। মেট্রোকে মাঝখানে রেখে দু’পাশ দিয়ে দু’টি উড়ালপুল যাবে। সমীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়লে বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এই উড়ালপুল চালু হলে বাইপাসে যানজটের সমস্যা হবে না বলেই আশা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy