প্রতীকী ছবি।
উচ্ছেদ অভিযানে নামছে কেএমডিএ। সংস্থার তৈরি করা ১৮ হাজার ফ্ল্যাট ও ২২০০ দোকান ঘরের বড় অংশ গত কয়েক দশকে হাতবদল হয়ে গিয়েছে বলে জেনেছে সংস্থা। এ বার সেই বেআইনিভাবে দখলদারদের চিহ্নিত করতে নামছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পুর দফতর সূত্রের খবর, কেআইটি এখন কেএমডিএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে। কেআইটির অধীনে ৭৯৩৩ টি ফ্ল্যাট ও ১৭৬৭টি দোকান ঘর রয়েছে। কলকাতা শহরের কেআইটি নির্মিত বিভিন্ন বাজারে রয়েছে ওই দোকানঘরগুলি। এ ছাড়া কেএমডিএ-র নিজের তৈরি ফ্ল্যাটের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তাদেরও রয়েছে ৪০০ দোকান। সব মিলিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে ১৮ হাজার ফ্ল্যাট ও ২২০০ দোকান রয়েছে।
পুর কর্তারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দশকে সরকার ভাড়ায় যে সব ফ্ল্যাট বা দোকান দিয়েছিল, তা বার বার হাত বদল হয়ে গিয়েছে। মোটা টাকা সেলামি নিয়ে দোকান চলে গিয়েছে অন্য জনের হাতে। খোদ পুরমন্ত্রীর নিজের এলাকা চেতলা বাজারেই ১১-১২টি দোকান ৪০-৫০ লক্ষ টাকায় অন্যের হাতে চলে গিয়েছে। কিন্তু সরকার সেখান থেকে এক পয়সাও পায়নি। অথচ ওই সব দোকান থেকে ভাড়া বাবদ সরকারের আয় হয় মাত্র কয়েক হাজার টাকা। বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প(বিআরএস)-এ বহু ফ্ল্যাট তৈরি করেছিল সরকার। সেই সব সম্পত্তি এখন লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন আবাসনে সরকারি গ্রাহকদের এই ফ্ল্যাট কিনে নিতেও অনুরোধ করেছিল। কিন্তু যেহেতু বর্তমান মালিকদের অনেকেরই সরকারি কাগজপত্র নেই ফলে তাঁরা তা কিনতে পারেননি। অনেকে আবার পুর দফতরের
কাছে ভাড়ায় আবাসন নিয়ে ভাড়াটে বসিয়ে দিয়ে মোটা টাকা রোজগার করছেন। অথচ সরকারি কর্মচারীরা আবেদন করেও আবাসন পাচ্ছেন না।
তা হলে উপায়?
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন,‘‘ সরকারি আবাসন ও দোকান রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ সেই আদ্দিকালের ভাড়ায় তাঁরা রয়েছেন। বেদখলও হয়ে গিয়েছে অনেক সম্পত্তি। এবার আবাসনে ঘুরে ঘুরে দেখা হবে আসল ভাড়াটেরাই ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন কি না। তা না হলে সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হবে।’’
যদি বেআইনি দখলদাররা উঠতে রাজি না হন? পুরমন্ত্রী জানান, অনেক হয়েছে, এ বার উঠতেই হবে। কত জন বেআইনি দখলদার রয়েছেন, সেই তথ্য এলে মন্ত্রিসভায় তা পেশ করে সরকার উচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy