প্রতীকী ছবি।
সাড়ে তিন ঘণ্টার জেরা তখন সবে শেষ হয়েছে। দোতলার ঘর থেকে বেরোতে গিয়েও থমকে গেলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। কারণ, নীচে থানার সামনে তখন ‘মদমুক্ত বাংলা’র স্লোগান উঠেছে।
বুধবারই পুলিশের কাছে বিক্রম স্বীকার করেছেন, দুর্ঘটনার রাতে তিনি মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়েছিলেন। সে কথা জানাজানি হওয়ার পরেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর তার পরেই টালিগঞ্জ থানার সামনে পৌঁছে যান যুব কংগ্রেসের জনা পঞ্চাশ কর্মী। সোনিকার জন্য ন্যায়বিচার এবং রাজ্যকে মদমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। জেরা শেষ হওয়ার পরে ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে সেই দৃশ্য দেখে থমকে যান বিক্রম। জেরা চলাকালীন অনেকটা সময়ই থানা চত্বরে পায়চারি করছিলেন বিক্রমের বাবা। বিক্ষোভ দেখে একটি ঘরের ভিতরে ঢুকে যান তিনিও। থানার মূল ফটক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। লালবাজার থেকে অতিরিক্ত বাহিনী থানায় পৌঁছয়। থানার মূল ফটকের দু’পাশে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর পরে বিক্রমের পরিবারের লোকেরাও ঢুকে পড়েন থানার ভিতরে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পরে বিক্ষোভকারীরা ফিরে যান।
বিক্রমকে চার পাশ থেকে ঘিরে ধরে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ। তবে থানা থেকে বেরিয়ে এ দিন নিজের গাড়িতে উঠতে পারেননি বিক্রম। পুলিশের তরফ থেকেই অন্য একটি এসইউভি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই গাড়িতে চড়েই বাবা এবং আইনজীবীর সঙ্গে থানা ছাড়েন তিনি। তবে সে দিনের ঘটনা বা এ দিনের পুলিশি জেরা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি বিক্রমের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy