ঝলকানি: কালবৈশাখীর সময়ে বজ্রপাত। শুক্রবার সন্ধ্যায়, ধর্মতলায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
দিনভর ভ্যাপসা গরমের পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় হানা দিল জোড়া কালবৈশাখী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে প্রথম কালবৈশাখী হানা দেয় কলকাতায়। তার সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ৭টা ৫৫ মিনিটে ফের একটি বৈশাখী ঝড় আছড়ে পড়ে শহরে। দ্বিতীয় ঝড়টির সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার। সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টিও।
সব মিলে রাতে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন নগরবাসী। তবে জোড়া ঝড়ের হানায় পোহাতে হয়েছে ভোগান্তিও। লালবাজার সূত্রের খবর, ঝড়ের দাপটে এ দিন দশ জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। রবীন্দ্র সরোবরে একটি গাছ ভেঙে দু’টি গাড়ির উপরে পড়ে। রাত পর্যন্ত ঝড়ে কোনও হতাহতের খবর নেই। কিন্তু গাছ উপড়ে পড়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, বরোজ রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, কালীঘাট রোড এবং এজেসি বসু রোডের মতো বেশি কিছু জায়গায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। লালবাজারের দাবি, ঝড় থামতেই পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল এবং কলকাতা পুরসভা উপড়ে পড়া গাছ কাটার কাজে লেগে পড়ে।
এ দিন ঝড়বৃষ্টির সময়ে জ্যাংড়ার বাসিন্দা দিলীপ দাসের বাড়ির দোতলায় একটি ঘরে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বজ্রপাতের ফলেই কোনও ভাবে ঘরের জানলায় আগুন লেগে যায়। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আবহবিদেরা জানান, গরমের জেরে রাজ্য এবং লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের উপরে বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। তা-ই ধেয়ে এসেছে মহানগরের দিকে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও এ দিন প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। শহরে বৃষ্টির পরিমাণ আট মিলিমিটার বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy