প্রতীকী ছবি।
বিয়ের পার্টিতে সঞ্চালনার কাজ করতে গিয়ে পটনার একটি হোটেলে দুই ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন যোধপুর পার্কের এক তরুণী। যাদবপুর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। তাঁর অভিযোগ, গত জুলাইতে ওই ঘটনার পর কলকাতায় ফিরে এসে পটনার দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তাদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টে এখনও নিয়মিত খুনের হুমকি পাচ্ছেন। রবিবার এই অভিযোগ নিয়ে নেটমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই তরুণীর এক বান্ধবী। তবে অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
পুলিশের কাছে অভিযোগে ২৪ বছরের ওই তরুণীর দাবি, বিহারের মুজফ্রপুরে বাসিন্দা হর্ষ রঞ্জন এবং তার বন্ধু বিক্রান্ত কেজরীবাল মিলে ৩ জুলাই পটনার একটি হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করে। জুলাইতে একটি বিয়ের পার্টিতে সঞ্চালিকার কাজ নিয়ে পটনা গিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছেন, হর্ষ ওই বিয়ের ইভেন্টে আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তরুণীর দাবি, ‘‘দেড় বছর ধরে আমাকে নিশানা করছিল হর্ষ। ঘটনার রাতে কাজের টাকা মেটানোর অছিলায় আমার হোটেলের ঘরে আসে হর্ষ এবং বিক্রান্ত। এর পর রাত ১টা থেকে ৩টের মধ্যে আমাকে ধর্ষণ করে। সে সময় ওই হোটেলে তিনটে বিয়ের পার্টি চলছিল। ফলে চিৎকার-চেঁচামেচি করেও লাভ হয়নি। ফোন করার চেষ্টা করলে তা কেড়ে নেয় ওরা। অত্যাচারের পর টেনেহিঁচড়ে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে আমার গায়ে জল ঢেলে দেয়।’’ ওই তরুণীর আরও দাবি, প্রমাণ নষ্টের জন্যই এমনটা করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ জুলাই যাদবপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে। ১৫ জুলাই এই কেসটি পটনার গাঁধী ময়দান থানায় ট্রান্সফার করা হয়েছে। ২৯ জুলাই পটনার একটি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন ওই তরুণী।
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তরুণীর দাবি, ‘‘ঘটনার পর থেকে এক দিন অন্তর পটনার গাঁধী ময়দান থানায় ফোন করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির কথা বলেও লাভ হয়নি। এখনও আমাকে নিয়মিত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মুখ বন্ধ রাখতে আমাকে টাকাও অফার করা হয়েছে।’’ তাঁর আক্ষেপ, ‘‘সঞ্চালনার কাজ নিয়ে বিদেশেও গিয়েছি। কিন্তু কখনও এ রকম দুঃসহ অভিজ্ঞতা হয়নি।’’
পটনা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করলেও তা নস্যাৎ করেছেন তারা। অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে পাটনা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy