বিজেপি সরকারের আনা বিলের বিরোধিতায় ডাকা কর্মবিরতি এ রাজ্যে কতখানি সফল হবে, সেটাই ছিল প্রশ্ন। দিনের শেষে যা দাঁড়াল, তা হল, আক্ষরিক অর্থেই কর্মবিরতি পালন করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েও তা ধরে রাখা যায়নি। দেরিতে পরিষেবা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসকেএমে। কিন্তু এন আর এস এবং আর জি করের ক্ষেত্রে সেই অভিযোগটুকু নেই। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, কলকাতা পুলিশ এলাকার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমন ভিন্ন ছবির পিছনে শান্তনু সেন ও নির্মল মাজির ‘মধুর’ সম্পর্ক একটি বড় কারণ।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ যেমন বিবৃতি জারি করেছিল, তেমনই কর্মবিরতি দেখা গিয়েছে। জরুরি বিভাগ সচল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু বহির্বিভাগের রোগীদের জন্য এক নম্বর গেটে ছিল হাত-মাইকে পরিষেবা না পাওয়ার ঘোষণা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের দরজা প্রথমে বন্ধ ছিল। চিকিৎসক মহলের খবর, সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন তৃণমূলের এক ‘প্রভাবশালী’ চিকিৎসক নেতা। বার্তা স্পষ্ট, বহির্বিভাগ বন্ধ রাখা যাবে না। এর পরে বহির্বিভাগে টিকিট দেওয়া শুরু হতে দেরি হয়নি।