কবিপক্ষ সমাগত। পঁচিশ বৈশাখের ক’দিন আগে থেকেই তার বারতা নিয়ে এ শহরে হাজির টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রবীন্দ্রগ্রন্থ প্রদর্শনী। সোমেন্দ্রনাথ বসুর পরিকল্পনায় ১৯৭৩-এ প্রথম শুরু হয় প্রদর্শনী, তখন হত কলকাতা তথ্যকেন্দ্রে। ১৯৮১ থেকে কালীঘাট পার্কে ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ঠিকানায় উঠে এসেছে প্রদর্শনী। রবীন্দ্রনাথের লেখা এবং রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে লেখা বইপত্র দেখতে ও কিনতে পারেন আগ্রহী পাঠক। নানা বছরে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন অন্নদাশঙ্কর রায় শ্যামল সেন সবিতেন্দ্রনাথ রায় সুনন্দ সান্যাল স্বপন চক্রবর্তী সব্যসাচী ভট্টাচার্য-সহ গুণিজনেরা, এ বছর বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী প্রমিতা মল্লিক। ১ মে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রদর্শনী, চলবে ১২ মে অবধি, দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা। অতিমারির দু’টি বছর করা যায়নি, এ বছর একান্নতম বর্ষ!
রবীন্দ্রনাথের গানের প্রথম স্বরলিপি প্রকাশিত হয় ১২৯২ বঙ্গাব্দের বৈশাখে, বালক পত্রিকার প্রথম সংখ্যায়। ‘বল্, গোলাপ, মোরে বল্’, স্বরলিপি লিখেছিলেন প্রতিভা দেবী। এই সময় তাঁর গানের সুর সংরক্ষণ ও প্রচারের কাজে কবিকে নির্ভর করতে হয়েছে ভাইঝি-ভাগ্নিদের উপর। সরলা-ইন্দিরা-প্রতিভারা তাঁর গানের সুর সংরক্ষণে ব্যস্ত, পাশাপাশি অভিজ্ঞা, অমলা দাশ প্রমুখ তাঁর সঙ্গীত-সহচরী। সেজদা হেমেন্দ্রের কন্যা অভিজ্ঞার গান শুনতে রবীন্দ্রনাথ পছন্দ করতেন; জোড়াসাঁকোর ছাদের মজলিশে ভাইঝিদের সঙ্গে নিয়ে গান গাইতে বসতেন, অভিজ্ঞা সেই আসরের মণি। আবার শিলাইদহে বোটে থাকার সময়ও গানের আসরে কলকাতা থেকে ডেকে পাঠাতেন অভিজ্ঞা, অমলাদের। “তারপর শুরু হত গান— পালা করে বাবা ও অমলা দিদি গানের পর গান করতেন,” রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন পিতৃস্মৃতি-তে। ভুলে যাওয়া গানের সুর পুনরুদ্ধারে সাহানা দেবীর কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কবি। ‘রবীন্দ্রগানের সুর সংরক্ষণ ও সম্প্রচারে নারীর ভূমিকা’ নিয়ে বলবেন পীতম সেনগুপ্ত, ৭ মে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মায়া আর্ট স্পেস-এ। প্রাসঙ্গিক গান শোনাবেন ভূমিকা গঙ্গোপাধ্যায়।
রবীন্দ্রজয়ন্তী ঘিরে নানা অনুষ্ঠান শহরে। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ লাইব্রেরির শিবনাথ মেমোরিয়াল হল-এ আজ সন্ধে ৬টায় অশোক বিশ্বনাথনের তথ্যচিত্র দ্য লাইটহাউস, দি ওশন অ্যান্ড দ্য সি, রবীন্দ্রনাথ রম্যাঁ রল্যাঁ ও কালিদাস নাগের মনন-সংযোগ যার উপজীব্য। সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত ‘বৈতানিক’-এর শতাধিক শিল্পীর নিবেদন ‘হে মোর দেবতা’, জোড়াসাঁকো মহর্ষি ভবনের ভিতরের উঠোনে, ৯ মে সন্ধ্যা ৬টায়। কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি (কেসিসি)-তে আগামী ১০ মে গুচ্ছ আয়োজন, ‘তোমার পরশ আসে: ইন্টারপ্রেটিং টেগোর’ শিরোনামে। সকাল ১১টায় রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শন নিয়ে বলবেন অমিত দাশগুপ্ত, পরে বিশিষ্ট শিল্পীদের কণ্ঠে নাটক-পাঠ। দুপুর ১২টা-১টা ‘দর্পণী’র নৃত্যানুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে ‘শিশু ভোলানাথ’, সন্ধ্যা ৬টায় কথায় গানে শাশ্বতী ও শ্রেয়া গুহঠাকুরতার নিবেদন ‘ওই আসনতলে’; ৭টা থেকে শান্তিনিকেতনের সঙ্গীত ভবনের প্রাক্তনীদের নৃত্য-নিবেদন ‘আমার একটি কথা বাঁশি জানে’। রবীন্দ্রসদন, অন্যত্রও কবিপক্ষে হরেক আয়োজন। ছবিতে পঁচিশে বৈশাখের মেলায় নানারূপে রবীন্দ্রনাথ।
নজরকাড়া
ছেলেবেলা থেকেই ছবি আঁকার দিকে মন। নিজেই লিখেছেন ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ঘরে রং-তুলি এটা-ওটা ভর্তি কাঠের বাক্সের কথা, ইস্কুলে আঁকার মাস্টারমশাই আশুবাবু যে তাঁর কাজ পছন্দ করতেন, সে কথা। শান্তিনিকেতনের দু’টি বছর আর তারও পরে কলকাতায় বিজ্ঞাপন সংস্থায় চাকরি, সিগনেট প্রেসের হয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করার কাজে ছোটবেলার আঁকার হাতটি খুঁজে নিয়েছিল নবদিগন্ত— ছবি-করিয়ে সত্যজিৎ আর লেখক সত্যজিতের অঙ্গাঙ্গি হয়ে উঠেছিল আঁকিয়ে, অলঙ্করণ-শিল্পী সত্যজিৎ রায়। ১৯৬১ থেকে সন্দেশ-এর নবপর্যায়ে নিজের ও অন্য বহু লেখকের রচনার সঙ্গে অজস্র অলঙ্করণ (ছবি) করেছেন তিনি, তারই নির্বাচিত অলঙ্করণে সেজে উঠেছে এ বছরের ‘স্টারমার্ক’ প্রকাশিত ক্যালেন্ডার, ‘দি ইলাস্ট্রেশনস অব রে: এক্সপেরিমেন্টস ইন স্টাইল’। বেরিয়েছে বছরশুরুতেই, শিল্পী পরিচালকের জন্মদিন-আবহে আবারও তার দিকে নজর পড়বে না, হয় তাই!
মাঠের লড়াই
আগের বছর, ১৯৭০-এ ইটালি গিয়ে দুরন্ত খেলেছিলেন ওঁরা। অস্ট্রিয়াকে ৯-০, ইংল্যান্ডকে ৩-২ হারানোর পরে অবশ্য ইটালির কাছে হার, ২-১। মেক্সিকোর নারী ফুটবলারদের পারফরমেন্সকে ব্যবসার সুযোগ হিসেবে দেখেছিল দেশের পুরুষ-অধ্যুষিত ফুটবল-প্রশাসন। ’৭১-এ মেক্সিকোই হল মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক, মেক্সিকান মেয়েরা মাঠে নামলেন এ বারও। অগণিত দর্শকের সামনে ডেনমার্কের কাছে হারতে হল, ৩-০। ‘টমবয়’, ‘হেঁশেলছুট’ টিপ্পনী-সহ, নানা বিভেদ-বিদ্বেষ সয়েছেন এই মেয়েরা, ইতিহাসেও ওঁরা বিস্মৃতপ্রায়। ফুটবল-মাঠে ওঁদের লড়াই নিয়ে তথ্যচিত্র সো ক্লোজ় টু দ্য ক্লাউডস বানিয়েছেন ম্যানুয়েল কানিবে, সিনে সেন্ট্রাল কলকাতা ও ভারতের মেক্সিকো দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে দেখানো হবে ৭ মে দুপুর ৩টেয়, নন্দন ৩-এ।
বই-সন্ধ্যা
সুদূর বা সাম্প্রতিক অতীতে প্রকাশিত, বাঙালি সারস্বতদের নানা লেখাকে গ্রন্থাকারে প্রাণপ্রতিষ্ঠার কাজটি বইবাজারে করে চলেছেন অনেকে। সেই সূত্রেই ফিরে পড়া যাচ্ছে এখন দুষ্প্রাপ্য বা বিলুপ্ত কোনও পত্রিকায় প্রকাশিত এক-একটি মূল্যবান রচনা। ‘সূত্রধর’ প্রকাশনার উদ্যোগে এমনই কিছু বই আলোর মুখ দেখছে আজ, পার্ক স্ট্রিটে অক্সফোর্ড বুকস্টোরে সন্ধ্যা ৬টায়। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীব-জগতের ক্রমাভিব্যক্তি, জলধর সেনের কাঙ্গাল হরিনাথ, রাইচাঁদ বড়ালের উস্তাদ কেরামতুল্লা খাঁ, মইনুল হাসানের বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনে মুসলমানেরা-সহ পনেরোরও বেশি বই। শোভনলাল দত্তগুপ্ত, মৌ দাশগুপ্ত ও রাজীব চক্রবর্তী করবেন প্রাসঙ্গিক আলোচনা।
জন্মদিনে
“আমার ধুতি নাও, তোমার পাগড়ি দাও মুকুট করে পরি।/ আজ ধর্ম মানে ভারতবর্ষ, যার সূর্য মাটি অন্নজলে/ দেবতারাও বেঁচে থাকেন: বেঁচে আছেন নানক গুরু এবং হরি।” সেই কবে লিখেছিলেন সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত। কৃত্তিবাস, কবিপত্র, পাক্ষিক বসুমতী তো বটেই, তাঁর স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে বিভাব পত্রিকাও, সম্পাদনা করেছেন সনিষ্ঠ দায়বদ্ধতায়। ২০১১-তে প্রয়াত কবির জন্মদিন ৫ মে, প্রতি বছর এ দিনে বিভাব পত্রিকা আয়োজন করে তাঁর নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা। এর আগে নানা বছরে বলেছেন শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় সৌরীন ভট্টাচার্য শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় আশীষ লাহিড়ী প্রমুখ; একাদশ বর্ষে বক্তা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, বলবেন ‘আধুনিকতার প্রতিস্বর: জী-মা-ঋ সঙ্ঘ’ নিয়ে। সোমবার সন্ধে সাড়ে ৬টায়, অবনীন্দ্র সভাঘরে।
অন্য পাঠ
১৯৬৯-এ সঙ্গীত নাটক অকাদেমি সম্মানে ভূষিত হন বাদল সরকার, পুরস্কার প্রদান সমাবেশে তাঁর রচিত ও বহুরূপী প্রযোজিত বাকি ইতিহাস মঞ্চস্থ হয়। শম্ভু মিত্র নিজে হাতে সম্পাদনা করেছিলেন নাটকটি, বহুরূপীর প্রযোজনায় এর প্রথম অভিনয় ১৯৬৭-র ৭ মে নিউ এম্পায়ারে। সেই পাঠটিই এ বার প্রকাশ পেল বহুরূপী পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যায়। সম্পাদক জানিয়েছেন, প্রযোজনার দাবি মেনে কতটা সরে আসা হয়েছিল মূল নাটক থেকে, তা ধরা আছে সম্পাদিত পাঠে। যেমন, বাদল সরকারের লেখায় ছিল ‘কঙ্গো’, শম্ভু মিত্রের সম্পাদনায় বদলে হয় ‘ভিয়েৎনাম’। রয়েছে বাদল সরকারের জীবন, কর্ম ও নাট্যদর্শন নিয়ে দেবাশিসের নাটক বেসরকারি; মৈত্রেয়ী দেবীর ন হন্যতে-র নাট্যরূপ। ১ মে বহুরূপীর ৭৭তম বর্ষপূর্তিতে অ্যাকাডেমি মঞ্চে হল অভিনয়ত্রয়: নিশিকুটুম, অবয়ব, নন্দিনী এবং।
চিত্রায়িত
অবিভক্ত বঙ্গের ময়মনসিংহের জামালপুরে জন্ম, ১৯৩৬-এ। দেশভাগের পরে ভর্তি হন কলকাতার সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে। ১৯৫৬-তে আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র হয়ে অজন্তা ম্যুরালের প্রতিরূপ করার কাজে নিযুক্ত হয়ে টানা সাত বছর সেখানে, ভিত্তিচিত্রকলার তাবৎ খুঁটিনাটির সঙ্গে পরিচিত হন। সেই অমূল্য অভিজ্ঞতা নিয়েই পরে সরকারি আর্ট কলেজে যোগ দেন গণেশ হালুই। ছেলেবেলার প্রকৃতিসান্নিধ্য, অজন্তায় ভারতশিল্পের অন্তরাত্মার সঙ্গে পরিচয় তাঁর শিল্পচর্চার ভিত্তি গড়েছিল। সেই সঙ্গ-অনুষঙ্গ চিত্রায়িত আজও। সম্প্রতি আঁকা গুয়াশ ও কালি-তুলির একগুচ্ছ কাজ (ছবি) নিয়ে হিন্দুস্তান পার্কে ‘আকার প্রকার’ আর্ট গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী, ‘গণেশ হালুই: সেন্সেস উইদিন’। রোদ বাতাস আলো আঁধারের কথালাপ— ১০ মে অবধি, রবিবার বাদে, সকাল ১১টা-সন্ধ্যা ৭টা।
চিরশৈশব
নিজের পড়ার টেবিল থেকে নেওয়া পেনসিল, কলম, রবার, শার্পনার। কিংবা ঘরে ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা দেশলাই কাঠি, টুথপিক, নাটবল্টু, কড়ি, ঝিনুক, আঠার টিউব, কাঁচি। বাবার শেভিং ব্রাশ, ঠাম্মার ইয়ার বাডস, সেও সই। এই সবই কাগজের উপর এখানে-ওখানে রেখে, রংপেনসিল দিয়ে একটু আঁকিবুঁকি কাটলেই শিশুকল্পনা সামনে হাজির: হাতপাখা, ফুল, পাখি, কচ্ছপ, রোদেলা দিন, কাকতাড়ুয়া, জাহাজ, কত্ত কিছু সেজে (ছবি)! এ শহরের কিছু মানুষ— আসলে প্রাণের বন্ধু— ‘অপ্রাসঙ্গিক’ নাম নিয়ে এমনই সব মজার মজার কাণ্ড করেন প্রত্যেক বাংলা বছরের ক্যালেন্ডার ঘিরে। ১৪৩২ বঙ্গাব্দেও তাঁদের সেই দুরন্ত মজাটি অব্যাহত: ছড়ায় ছবিতে মনপবনের নাও ভাসানো। “মাস বছরে এমনি করে/ চলার পথে মানুষ চিনে/ নিত্য নতুন বন্ধু পাবে?/ শপিং করে অনলাইনে?” কে বলে বুড়ো হওয়া প্রকৃতির দস্তুর? এই ছেলেমানুষি বেঁচে থাকুক।
মঙ্গলভাবনায়
হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী, নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব— চার পাশে, দেশে দেশে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা, শান্তি, নিরাপত্তার। প্রতিষেধক? যে বৈশ্বিক মঙ্গলভাবনা ছড়িয়ে আছে বিশ্বসাহিত্যে, অনুবাদের মাধ্যমে তাদের প্রচার-প্রসারে তৈরি হতে পারে নানা ভাষা-সংস্কৃতি ও মানুষের সেতুবন্ধ। সেই বিশ্বাসে ভর করেই ‘অনুষা’র উদ্যোগে সাহিত্যসন্ধ্যা, ২৪ অশ্বিনী দত্ত রোডে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবনে আগামী কাল, ৪ মে বিকেল ৫টায়। কালজয়ী দু’টি যুদ্ধবিরোধী বই, মার্গেরিত দ্যুরাসের লেখা চিত্রনাট্য হিরোশিমা মন আমুর, (প্রকা: বৈ-চিত্র) এবং জার্মান লেখক হাইনরিশ ব্যোল-এর উপন্যাস আদম, তুমি কোথায় ছিলে? (অনুষা) নিয়ে আলোচনা করবেন বই দু’টির অনুবাদক অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও নন্দিনী সেনগুপ্ত। প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে হিংসা ও যুদ্ধের আবহে ভালবাসার হাত ধরতে বই আর মানুষই তো পারে!
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)