E-Paper

গার্ডেনরিচে ক’টি পুকুর, ভরাট রুখতে এক সপ্তাহে তথ্য চান মেয়র

গার্ডেনরিচে পুকুর ভরাট নিয়ে আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘গার্ডেনরিচে যে ভাবে অসাধু প্রোমোটারেরা পুকুর ভরাট করে চলেছেন, তাতে ওই এলাকা অচিরেই গ্যাস চেম্বারে পরিণত হবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:২৮
An image of Kolkata Mayor Firhad Hakim

মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরো, অর্থাৎ গার্ডেনরিচ এলাকায় যে ভাবে একের পর এক পুকুর ভরাট হয়ে চলেছে, তাতে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গার্ডেনরিচে বর্তমানে কত সংখ্যক পুকুর রয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর কাছে জমা দিতে পুর আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

প্রসঙ্গত, শহরে ক’টি পুকুর ও জলাশয় রয়েছে, সে বিষয়ে গত এক বছর ধরে কাজ করছে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলসম্পদ বিভাগ ও রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। ওই দুই বিভাগ পুরসভার কাছে ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পুরসভার ১৫ নম্বর বরো এলাকার চারটি ওয়ার্ডে ২০০৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ২১০টি পুকুর ভরাট হয়েছে। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে পাটুলির এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ৯২, ১০৪ ও ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক ঝিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যা শুনে ভরাট রুখতে পরিবেশ বিভাগ ও অ্যাসেসমেন্ট বিভাগকে যৌথ ভাবে সমীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে বলেন মেয়র।

গার্ডেনরিচে পুকুর ভরাট নিয়ে আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিরহাদ। এ দিন ফের তিনি বলেন, ‘‘গার্ডেনরিচে যে ভাবে অসাধু প্রোমোটারেরা পুকুর ভরাট করে চলেছেন, তাতে ওই এলাকা অচিরেই গ্যাস চেম্বারে পরিণত হবে। ওই এলাকায় যত পুকুর রয়েছে, সব ক’টি আমাদের বাঁচাতে হবে।’’ ১৫ নম্বর বরোর এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে এ দিন মেয়র নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘‘গার্ডেনরিচ এলাকার কোন রাস্তায় ক’টি পুকুর রয়েছে, তার মাপজোক করে বিস্তারিত তথ্য আমার টেবিলে জমা দিতে হবে।’’

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে ১৫ নম্বর বরো এলাকার ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর ভরাট হচ্ছিল। মেয়রের নির্দেশে ডিসি (বন্দর) বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে গিয়ে সেই পুকুর ভরাট রুখে দেন। এখন ওই আংশিক ভরাট হওয়া পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফেরানোর কাজ চলছে বলে জানান মেয়র। গার্ডেনরিচ-সহ শহরের সমস্ত এলাকায় পুকুরের সমীক্ষার কাজ দ্রুত শেষ করতে পরিবেশ ও অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে, পুকুর ভরাট প্রসঙ্গে কাঁথিতে এ দিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘কলকাতায় ১০ বছরে পাঁচ হাজার পুকুর বুজিয়ে ফেলেছে, গাছ কেটে ফেলেছে তোলামুলের চোরেরা। তার জন্য ডিসেম্বরেও গরম অনুভব হচ্ছে। তোলামূলের চোরেদের জন্য প্রকৃতি মা নিজের মতো খেলা খেলছে। জনজাগরণের মাধ্যমে এদের যত ক্ষণ না ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিচ্ছে মানুষ, তত ক্ষণ মুক্তি নেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pond Filling Kolkata Mayor FirhadHakim

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy