টালিনালা পুরোপুরি সংস্কার হয়ে গেলে কলকাতা শহরের জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় কি না, সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করার কথা জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার খিদিরপুরের দহিঘাট থেকে সোনারপুর পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার টালি নালার দু’পাশে ড্রেজিংয়ের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। ড্রেজিংয়ের কাজ-সহ অন্যান্য সংস্কারের জন্য ৩২ কোটি টাকা কলকাতা পুরসভা খরচ করছে। সেই কাজের অগ্রগতি জলপথে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মেয়র-সহ পুরসভার কাউন্সিলর ।
পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পরতিনি জানান, মানুষ সচেতন নন। তাই আগের বার ফাঁকা দেখে আসা অনেক নতুন এলাকা জবরদখল হয়ে গেছে। টালি নালাকে ভ্যাট হিসেবে ব্যবহার করার খারাপ অভ্যাস তৈরি হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে এরকম একটা পরিত্যক্ত নোংরা খাল ছিল। এখন তার চেহারা দেখে অবাক হতে হয়। টালি নালাকেও একদিন এ রকম চেহারায় দেখতে চাই।’’ সংস্কারের পর সমীক্ষার কাজ করিয়ে পুরসভা দেখে নিতে চায় যে টালিনালাকে আদৌ জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় কি না। এ ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরে যে ভাবে পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হয়, সে ভাবেই কলকাতা টালিনালাকে ব্যবহার করতে চান মেয়র।
আরও পড়ুন:
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চেতলা থেকে কুঁদঘাট পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর সেখান থেকে সোনারপুর পর্যন্ত পলি তোলা এবং অন্যান্য সংস্কারের কাজ শুরু হবে। সংস্কারের কাজ শেষ হলে এই গোটা ১৫.৫ কিলোমিটার এলাকার দু’দিকেই ফেন্সিং করে দেবে পুরসভা। যাতে টালিনালার পাড়ের বাসিন্দারা আর আবর্জনা ফেলে টালিনালাকে দূষিত না করতে পারেন।