তিন জয়ী নির্দল কাউন্সিলর যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। নিজস্ব চিত্র।
জয়ের পর তিন নির্দল কাউন্সিলরই যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে।মঙ্গলবার গণনা কেন্দ্র ছাড়ার আগে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাচক্রে তিন জনই মহিলা। কলকাতা পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ে পেয়েছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডেআয়েশা কনিজ, ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে রুবিনা নাজ ও ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্বাশা নস্কর। এঁরা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনজনই তৃণমূলের প্রার্থীদের হারিয়ে জয়লাভ করেছেন।
৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সগুফতা পারভিনকে ২১১১ ভোটে হারালেন আয়েশা। জয়ের শংসাপত্র হাতে নিয়েই তিনি বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের মানুষের দাবি ছিল আমি প্রার্থী হই। সেই কারণেই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। মানুষ আমাকে সমর্থন করেছেন, এ বার মানুষের জন্য ওয়ার্ডে কাজ করতে চাই।’’ এরপরেই আয়েশা বলেন, ‘‘দিদি মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। আমরাও তেমনটাই চাই। তাই তৃণমূলে যোগ দিতেই পারি।’’
কলকাতা বন্দর বিধানসভার অন্তর্গত ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডেও একই চিত্র। তৃণমূল প্রার্থী আখতারি নিজামি শাহাজাদার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান রুবিনা। তিনিও নিরাপদ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। বন্দর তৃণমূল সূত্রে খবর, রুবিনার তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষা।
মেটিয়াবুরুজ বিধানসভার ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেলেন পূর্বাশা নস্কর। এই কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী হিসেবে শিবনাথ গায়েনকে মনোনয়ন দিয়েছিল তৃণমূল। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে ওয়ার্ডের একাংশ কর্মী সমর্থকদের সমর্থন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করে বাজিমাৎ করলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী পূর্বাশা। ৫০৯ ভোটে জয় পান তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটলুঠ করে জয়ের চেষ্টার অভিযোগ করেও, তৃণমূলে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন সদ্য জয়ী এই নির্দল কাউন্সিলর।
তিননির্দল কাউন্সিলরকেই দলে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। ২০১৫ সালের পুরভোটেও তিন নির্দল প্রার্থী জয় পেয়ে শেষ পর্যন্ত যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy