Advertisement
E-Paper

Kolkata Municipality: আয় বাড়াতে উদ্যোগী পুরসভা, দৃশ্যদূষণ কমাতে নয়

খরচ বেড়েছে। কমেছে আয়। এমনকি, বিজ্ঞাপন বাবদ যে আয় হত, সেই খাতেও এখন পুরসভার বকেয়া কয়েক কোটি টাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৮
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

খরচ বেড়েছে। কমেছে আয়। এমনকি, বিজ্ঞাপন বাবদ যে আয় হত, সেই খাতেও এখন পুরসভার বকেয়া কয়েক কোটি টাকা। করোনাকালে এমন পরিস্থিতিতে চিন্তিত দক্ষিণ দমদম কর্তৃপক্ষ সেই অনাদায়ী টাকা আদায়ে তৎপর হচ্ছেন।
যাঁরা অনুমতি নিয়ে পুর এলাকায় হোর্ডিং, ব্যানার, ফ্লেক্স লাগিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। মুখ্য প্রশাসক জানাচ্ছেন, বছরখানেকের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বৈধ বিজ্ঞাপনের বাইরেও কয়েকশো এমন বাণিজ্যিক প্রচার ছড়িয়ে আছে পুর এলাকা জুড়ে। যা দৃশ্যদূষণের বড় কারণও বটে। সেগুলির কী হবে? মুখ্য প্রশাসকের দাবি, অবৈধ হোর্ডিং, ব্যানার, ফ্লেক্স চিহ্নিত করে খুলে ফেলা হবে।

এ বার কি তবে মুক্তি মিলতে পারে দৃশ্যদূষণ থেকে? আর শুধু বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনই নয়, পুর এলাকা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য রাজনৈতিক ব্যানার-ফ্লেক্সও রয়েছে। দৃশ্যদূষণের কারণ তো সেগুলিও, বলছেন এলাকাবাসী। খুলে ফেলা হচ্ছে কি সে সব? এ ব্যাপারে অবশ্য পুরসভা নিরুত্তরই থেকেছে।
সংক্রমণের মোকাবিলায় গত দেড় বছরে পুরসভার খরচ অনেকটাই বেড়েছে বলে জানাচ্ছে পুর প্রশাসন। সেফ হোমের পরিষেবা, এলাকা জীবাণুমুক্ত করা, প্রতিষেধক দেওয়া-সহ একাধিক জরুরি কাজে খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অথচ আয় বাড়েনি পুরসভার। এমন চলতে থাকলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজে দেরি হতে পারে বলে দাবি প্রশাসনের। তাই আয় বৃদ্ধিতে জোর দিতে চাইছে পুরসভা।

প্রশাসকমণ্ডলীর সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সদস্য কেয়া দাস জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত টাকা বকেয়া রয়েছে। পুরসভার সম্পত্তির উপরে অনেকেই হোর্ডিং, ব্যানার লাগিয়ে ব্যবসায়িক প্রচার করছেন। কিন্তু তার মধ্যে কোনটি অনুমোদিত, আর কোনটি নয়, এ বার তা চিহ্নিত করা শুরু হয়েছে। অনুমোদিত সংস্থাকে ডেকে পাঠিয়ে বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলা হচ্ছে। যেগুলি অবৈধ, সেই সব প্রচার সরিয়ে দেওয়া হবে। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, অতিমারির কথা ভেবে প্রয়োজনে বকেয়ায় ছাড় দেওয়ার বিষয়ে পর্যালোচনা হবে।

তবে দৃশ্যদূষণ দূর হওয়ার আশা দেখছেন না এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছে অবৈধ বিজ্ঞাপন এবং রাজনৈতিক হোর্ডিং-ব্যানারের রমরমা। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে কোনও তৎপরতাই দেখায়নি প্রশাসন। সূত্রের খবর, এ বারেও রাজনৈতিক ব্যানার বা ফ্লেক্স খোলা নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। অর্থাৎ, দৃশ্যদূষণ থাকবেই।

Kolkata municipality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy