কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি আক্রান্তদের জন্য শহরের দু’জায়গায় রোগী ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করছে কলকাতা পুরসভা। খিদিরপুরের পুর চিকিৎসা কেন্দ্রে একশোটি শয্যা ও সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের পাশে ইসলামিয়া হাসপাতালে দুশো শয্যার এই বিশেষ পরিষেবা চালু হতে চলেছে।
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকায় শহরের বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালে শয্যা মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে তাই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। ডেঙ্গি মোকাবিলায় বুধবার কলকাতা পুর ভবনে এক জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র তথামেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ ও বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুরসভা একটি হেল্পলাইন চালু করবে। যেখানে ফোন করে নাগরিকেরা জানতেপারবেন, শহরের কোন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা রয়েছে।
গত এক সপ্তাহে যে ভাবে ডেঙ্গি সংক্রমণ বেড়েছে, তাতে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মেয়র। ১৬টি বরোর এগ্জিকিউটিভ হেল্থ অফিসারেরাও এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, এ দিন ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলবাগান এলাকায় তিনটিপুকুরের চার পাশে আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। পুরসভা গত বছরও সেখানকার আবর্জনা পরিষ্কার করেছিল।
অতীনের কথায়, ‘‘এ দিনের বৈঠকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে কড়া নির্দেশ দিয়ে মেয়র সাফ জানিয়েছেন, পুকুর বা ফাঁকা জমিতে জঞ্জাল পড়ে থাকলে তার চার পাশের বাড়ির বাসিন্দাদের নোটিস দেওয়া হবে। এর পরে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে পুরসভা সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পুর আদালতের দ্বারস্থ হবে।’’
এ দিন পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে খিদিরপুরের পুর চিকিৎসা কেন্দ্রটি ৪০টি শয্যা নিয়ে চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই তা বাড়িয়ে ১০০ করা হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, নির্মীয়মাণ বাড়িতে জল জমলে তাতে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার বাহক মশার আঁতুড় হতে পারে ভেবে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ নোটিস দিয়ে থাকে। এ বার তাতে কাজ না হলে বিল্ডিং দফতর কাজ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। তার পরেও কাজ বন্ধ না হলে দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে কারণ দর্শাতে বলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy