প্রতীকী ছবি।
কলকাতা মেট্রো রেলের চব্বিশটি স্টেশনে ৭৮টি এসক্যালেটরের মধ্যে ৩৭টি ২০০৮ সালের আগে বসানো। এর মধ্যে বেশ কিছু এসক্যালেটর প্রায় ২০ বছরের পুরনো। দু’দশকের পুরনো ওই সব এসক্যালেটরগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করলেও কয়েক মাস পরপরই বিকল হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দমদমে আচমকা বিকল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটানো এসক্যালেটরটিও তেমনই পুরনো। গত বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটি প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল। কিন্ত তাতেও অসুখ যে সারেনি মঙ্গলবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।
মেট্রো সূত্রে খবর, পুরনো এসক্যালেটরের সমস্যা কমাতে বেলগাছিয়া, চাঁদনি চক, এসপ্ল্যানেড, রবীন্দ্র সদন, নেতাজি ভবন এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে মোট ১১টি এসক্যালেটর বদলানো হবে। দমদমেও ৪টি এসক্যালেটর বদল হওয়ার কথা।
মেট্রো রেলের এক কর্তা জানান, নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারিত হওয়ার আগে ১৭টি স্টেশনে মাত্র ৩৭টি এসক্যালেটর ছিল। গত কয়েক বছরে যাত্রী সংখ্যা যেমন লাফ দিয়ে বেড়েছে তেমনই যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বিভিন্ন স্টেশনে এসক্যালেটরের সংখ্যাও দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে।
কিন্ত চাঁদনি চক, রবীন্দ্র সদনের মতো কয়েকটি ব্যস্ত স্টেশনে যাত্রীদের বাইরে আসার এমন কিছু পথ রয়েছে যেখানে এসক্যালেটরই ভরসা। ফলে বেশি সংখ্যক যাত্রী এসক্যালেটর ব্যবহার করায় যন্ত্রেও চাপ বেশি পড়ে। এসক্যালেটর বিকল হলে যাত্রীদের দুর্ভোগও বাড়ে। চাঁদনি চক স্টেশনে একটি এসক্যালেটর ৫ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিকল হয়ে রয়েছে। মেট্রো সূত্রে খবর, বর্তমানে এসক্যালেটরগুলির মধ্যে প্রায় ৫০টির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে জার্মানির একটি সংস্থা। বাকিগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করে আরও কয়েকটি সংস্থা।
রেলের নিজস্ব গবেষণা সংস্থা আরডিএসও (রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন) এসক্যালেটরগুলির নকশায় কিছু বদল আনার কথা বলেছে। নতুন এসক্যালেটর বসাতে জায়গা কম লাগবে। পাশাপাশি সেগুলি উন্নত মানের। ফলে সমস্যা কমতে পারে বলে দাবি মেট্রো কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy