কখনও সিবিআই অফিসার, কখনও কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। সেই কথা বলেই তরুণ-তরুণীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎও করেছিলেন। গরফা থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই যুবককে দিন কয়েক আগে বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃতের বাড়ি থেকে কলকাতা পুলিশের স্টিকার সাঁটা একটি স্কুটার, দু’টি দামি মোবাইল-সহ তিনটি ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ব্যাঙ্কের ভুয়ো নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ধৃত যুবক শুভঙ্কর কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে শহরের একাধিক থানায় প্রতারণার অভিযোগ আছে। গরফা থানাতেই শুভঙ্করের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ। গত ১৯ মার্চ গরফার যাদবগড়ের বাসিন্দা সত্যবালা রায় প্রথম অভিযোগটি করেন। এর দিন কয়েক পরে কৌশিক রায় নামে এক যুবক অভিযোগ জানান। পুলিশ জেনেছে, বেহালার বাসিন্দা শুভঙ্কর বছর চারেক ধরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। সেই থেকে ঘন ঘন বাসা বদলান তিনি। বেহালার পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বছর কয়েক ধরে গরফায় থাকছিলেন তিনি।
পুলিশ জেনেছে, তরুণ-তরুণীদের চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁদের ‘আস্থা’ অর্জন করতে দামি গাড়িতে চড়িয়ে নামী হোটেলে নিয়ে গিয়ে খাওয়াতেন শুভঙ্কর। চাকরির নিয়োগপত্র পেতে প্রতারিতেরা শুভঙ্করের ভাড়া বাড়িতে পড়ে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, যাঁদের থেকে মোটা টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আসতে বলেন শুভঙ্কর। কিন্তু সে দিনও শুভঙ্করের বাড়ি গিয়ে তালা দেখেন তাঁরা। অভিযোগ, এর পরে এক মাস টানা ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এর পরেই অভিযোগ দায়ের হয়। গোয়েন্দাপ্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy