Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিপজ্জনক বাড়ি সারাইয়ে নড়ে বসল মালিকপক্ষ

প্রসঙ্গত, একাধিক বার নোটিস দেওয়ার পরেও যে বিপজ্জনক বাড়ির মালিকেরা সংস্কারে উদ্যোগী হননি, তেমন বাড়িগুলি চিহ্নিত করে ভাঙার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৮ ০২:২৫
Share: Save:

বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হতেই টনক নড়ল বাড়ির মালিকদের। সোমবারই একাধিক বিপজ্জনক বাড়ির মালিক কলকাতা পুরসভায় এসে দেখা করেন। বাড়ি সংস্কারের জন্য কী কী করতে হবে, তাঁরা জানতে চান বলে পুরসভা সূত্রের খবর। যদিও যে সব বাড়ির মালিকেরা এখনও এগিয়ে আসেননি, তাঁদের বাড়ি ভাঙার আইনি প্রক্রিয়া এ দিন থেকেই শুরু করেছে পুর প্রশাসন। বিল্ডিং দফতরের তরফে প্রয়োজনীয় ফাইল তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, একাধিক বার নোটিস দেওয়ার পরেও যে বিপজ্জনক বাড়ির মালিকেরা সংস্কারে উদ্যোগী হননি, তেমন বাড়িগুলি চিহ্নিত করে ভাঙার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। লেনিন সরণি, রানি রাসমণি রোড-সহ একাধিক এলাকায় এমন কিছু বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। গত মাসে কালবৈশাখী ঝড়ে লেনিন সরণিতে একটি চলন্ত অটোর উপরে গাছ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই গাছটি উঠেছিল একটি বিপজ্জনক বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে। দেওয়াল ভেঙেই সেটি রাস্তায় পড়ে। পরে পুরসভার কর্মীরা গিয়ে বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দেন বটে, কিন্তু তত ক্ষণে যা বিপর্যয় ঘটার ঘটে গিয়েছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতেই এ বার বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিল্ডিং দফতর।

এ দিন একাধিক বিপজ্জনক বাড়ির মালিক পুরসভায় এসে বাড়ি সারানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন। এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘একাধিক বিপজ্জনক বাড়ির মালিক পুরসভায় এসে দেখা করে বাড়ি সংস্কারের জন্য কী করতে হবে, জানতে চেয়েছেন। আমরা বাড়ির নকশা জমা দিতে বলেছি। নকশাদেখে বাড়ি সারাইয়ের অনুমোদন দেওয়া হবে।’’ অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িগুলিতে ভাড়াটে নেই বলে পুরসভা সূত্রের খবর। ফলে ওই বাড়িগুলির ক্ষেত্রে দ্রুত সারাইয়ের অনুমোদন দেওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dilapidated house House Owners Reformation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE