ধৃত: অসিত রাই। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে মুখ খুললেন ৩০বি বাই ১ বাসের কন্ডাক্টর বাবু দাস। শনিবার তাঁর বাসেই দুই কলেজছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগে অসিত রাই নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
বাবুর বয়ান অনুযায়ী, শনিবার বেলা সোয়া ১১টা নাগাদ হাওড়া থেকে বাস নিয়ে রওনা হয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তি কোথা থেকে উঠেছিল, খেয়াল নেই। কলেজ স্ট্রিট পৌঁছে বাস ফাঁকা হয়ে যায়। সামনে কয়েক জন থাকলেও পিছনে এক জন বসে ছিল। বাবুর দাবি, তার বিরুদ্ধেই পরে অভিযোগ করেন দুই ছাত্রী।
হেদুয়া থেকে বাসে ওঠেন ওই দুই ছাত্রী। বাস খানিক দূর এগোনোর পরেই কন্ডাক্টরের কাছে তাঁরা অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি তাঁদের সামনে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করছে। কিন্তু বাবুর দাবি, ওই ব্যক্তিকে কোনও রকম অশালীন ভঙ্গি করতে তিনি দেখেননি। ফলে তিনি ছাত্রীদের বলেন, ‘‘কার মনে কী আছে, আমি কী করে বলব?’’
বাবুর দাবি, দুই ছাত্রী যখন অভিযোগ করছিলেন, তখনও সে নিশ্চল বসেছিল এবং হাসছিল। যে কারণে আরওই সন্দেহ হয়নি। বাবুর দাবি, ছাত্রীরাও বিষয়টি নিয়ে আর কোনও কথা বলেননি। চেঁচামেচিও করেননি। ফলে অন্য যাত্রীরাও বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
অভিযুক্ত ব্যক্তি এর খানিক পরেই হাতিবাগানে নেমে যায়। তার পরেও দুই ছাত্রী কোনও উচ্চবাচ্য করেননি বলে জানিয়েছেন বাবু।
শনিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ বাসের মালিক বাবুকে ফোন করে বাবুঘাটে ৩০বি বাসস্ট্যান্ডে যেতে বলেন। বাবু তখন বাস নিয়ে বৌবাজারে ছিলেন। যাত্রীদের ভাড়া ফিরিয়ে দিয়ে তিনি ফিরে যান বাবুঘাটে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয় তাঁর। আজ, সোমবার বিকেলে লালবাজারে ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে এবং চালককে।
বাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, বাসে বহু ধরনের মানুষ দেখেছেন, ওই ব্যক্তিকে দেখে কোনও ভাবেই তিনি বুঝতে পারেননি, এমন একটা ঘটনা নিঃশব্দে ঘটিয়ে ফেলেছে সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy