পাড়ায় পাড়ায় যে সব জিম গজিয়ে উঠেছে, সেগুলির পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না, এ বার তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। সমীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিটি জিমের মালিকের কাছে একটি প্রশ্নমালা পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জিমগুলির পরিকাঠামো কেমন, ট্রেনারেরা সকলে প্রশিক্ষিত কি না— সেই প্রশ্নমালায় এমন নানা বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
এ বিষয়ে শনিবার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘জিমগুলি নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হবে। উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না, ট্রেনারেরা প্রশিক্ষিত কি না, সবই দেখা হবে।’’ প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়াই অনেক জিমে রোগা-মোটা হওয়ার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে পুরসভায়। শুক্রবারই এমন ওষুধ খেয়ে এক যুবকের অসুস্থতার খবর এসেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শহরের জিমগুলিতে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।
নজরদারির প্রাথমিক ধাপ হিসেবেই জিমগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পুরকর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিটি জিমের মালিকের কাছে ওই প্রশ্নমালা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জিম কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে সেখানে কত জন ফিটনেস ট্রেনিংয়ের জন্য আসেন, ফিটনেস ট্রেনারের যোগ্যতামান কী, কোনও রকম সিন্থেটিক ফুড দেওয়া হয় কি না ইত্যাদি। অর্থাৎ, নিজেদের কর্মপদ্ধতি নিয়ে জিম কর্তৃপক্ষকে একটি মুচলেকা দিতে হবে। সেই সব তথ্য ঠিক কি না, তা যাচাই করে দেখার জন্য পুরসভা অভিযান চালাবে।
তবে জিম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুরকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, বড় মাল্টিজিমগুলি বাদ দিয়ে অলিগলিতে যে সব জিম গজিয়ে উঠছে, সেগুলির তথ্য পুরসভার কাছে নেই। কারণ, সেগুলি পুরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয় না। অতীনবাবুর কথায়, ‘‘সব জিম তো আর ট্রেড লাইসেন্স নেয় না। তাই সেটা একটা অসুবিধা। স্বাস্থ্যকর্মীরাই রাস্তা ধরে ধরে একটা তালিকা প্রস্তুত করবেন।’’ অতীনবাবু জানান, তালিকা হাতে এলে বেআইনি জিমে অভিযান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy