গুগল সব সময়ে ঠিক বলে নাকি! গুগল তো অনেক সময়ে এটাও বলে যে, কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়। সেটা কি ঠিক?
নবরূপে সংস্কারের পরে নাখোদা মসজিদের দোতলার ঘরে বসে কথাগুলি বলছিলেন মহম্মদ ইকবাল। অতীতে নাখোদা মসজিদ তৈরি ও পরবর্তীকালে তার সংস্কারের পিছনে গুজরাতের কচ্ছের মেমন সম্প্রদায়ের যে পরিবারগুলির সর্বাধিক অবদান রয়েছে, সেই পরিবারেরই অন্যতম উত্তরসূরি হলেন ইকবাল। ইকবাল বলছিলেন, ‘‘কোনও এক জন কিন্তু নাখোদা মসজিদ তৈরি করেননি। অনেক সময়েই গুগল ভুল বলে। তাই গুগলে বিশ্বাস করবেন না। ইতিহাস বলছে, অনেক পরিবারের সম্মিলিত অবদান হল এই নাখোদা মসজিদ।’’ ইকবাল যেখানে বসে কথাগুলি বলছিলেন, তার কিছুটা উপরে মসজিদেরই একটি মিনারের ভিতরে তখন চিলের ডানা ঝাপটানোর শব্দ ভেসে আসছে। মসজিদের ভিতরে শান্ত, নিঝুম, ঠান্ডা বিশাল ঘরে তখন অনেকে শুয়ে। ইকবালের কথামতো তাঁরা সকলেই ‘মুসাফির’! কাজের সূত্রে এসেছেন। এখন রোজা চলছে। তাঁরা আর কোথায় যাবেন? তাই মসজিদে ঢুকে পড়েছেন।
১৯২৬-এ তৈরি নাখোদা মসজিদ স্থাপত্যের দিক থেকে এমনিতেই যেন এক বিস্ময়। সাদা মার্বেলের দেওয়াল, বেলজিয়াম কাচ, বিশাল নমাজ পড়ার জায়গা, দাঁড়িয়ে থাকা পুরনো কাঠের ঘড়ি— সব মিলিয়ে ছত্রে-ছত্রে ইতিহাসের গন্ধ। অবশ্য ১৯২৬ সালের আগেও নাখোদা মসজিদের একটা ইতিহাস ছিল। বর্তমানে যেখানে নাখোদা মসজিদ রয়েছে, তখন সেখানে দু’টি ছোট মসজিদ ছিল। কচ্ছের মেমন সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষই সেই দু’টি মসজিদকে একত্র করে নাখোদা মসজিদের বর্তমান কাঠামো নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছিলেন।