বাড়িতে পিৎজা পৌঁছে দিতে এক যুবককে ফোন করেছিলেন ডেলিভারি বয়। জানতে চেয়েছিলেন, ওই ঠিকানায় তিনি থাকেন কি না। যুবক জানান, ঠিকানাটি তাঁর নয় এবং তিনি কোনও পিৎজা অর্ডার করেননি। যদিও ওই যুবক নিজের বাড়ির ঠিকানা জানিয়ে দিয়েছিলেন ডেলিভারি বয়কে। কিছু ক্ষণের মধ্যে সেই ঠিকানায় চার সঙ্গী নিয়ে হাজির সেই ডেলিভারি বয়। তার পরে ওই যুবককে গাড়িতে চাপিয়ে থানার উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।
এ ভাবেই পিৎজা প্রস্তুতকারক সংস্থার ডেলিভারি বয় সেজে পুলিশকর্মীরা একাধিক চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবককে ধরেন। ধৃতের নাম দীপক কুমার হালদার ওরফে অন্ধকার। হরিদেবপুর থানার সোদপুরে তার বাড়ি, সেখান থেকেই মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ তাকে ধরে। তদন্তকারীদের দাবি, রাত পর্যন্ত দীপককে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের আর এক সদস্য অসীম অধিকারীকে। কিনারা হয়েছে হরিদেবপুর থানার সোদপুর এলাকার একাধিক চুরির। বুধবার পর্যন্ত ধৃতেরা তিনটি চুরির ঘটনা স্বীকারও করেছে।
তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের জেরা করে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া আটটি মোবাইল-সহ লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। দুই ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।