রণক্ষেত্র: নবান্ন অভিযান রুখতে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা পুলিশের। ইট ছুড়ে পাল্টা জবাব। সোমবার, ডাফরিন রোডে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
শুধু চোখ নয়, গোটা শরীরটাই জ্বলতে থাকে। সঙ্গে কাশি। তীব্র ঝাঁঝে মনে হয় যেন দম আটকে আসবে। মাথা ঘোরে। কয়েক পা এগোনোও মনে হয় অসম্ভব। জলের ঝাপটা দিয়ে, ঠান্ডা জল খেয়েও স্বস্তি মেলে না। পোশাকি নাম ‘ওলিওরেসিন ক্যাপসিকাম’, চলতি কথায় ‘কেমিক্যাল গ্যাস’ও বলা হয়। সোমবার ডাফরিন রোড, মেয়ো রোডে কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি পুলিশ এটাও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ।
লালবাজারের কর্তারা বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন পুলিশকর্তার অভিযোগ, এ দিন কাঁদানে গ্যাসের বদলে লঙ্কার ঝাঁঝ মেশানো রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার হয়েছিল। এর আগে এমন ব্যাপক হারে এর ব্যবহার হয়নি। তাঁরা জানান, কাঁদানে গ্যাসে চোখ জ্বালা করে, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। কিন্তু এই গ্যাস চামড়াতেও তীব্র জ্বালা ধরায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি এমন রাসায়নিক যৌগ যা ব্যবহারের জেরে চোখ জ্বালা, কাশির পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাতের জেরে মৃত্যুও হতে পারে। সাধারণ ভাবে এর প্রভাব আধ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। আবার কখনও কয়েক ঘণ্টাও থাকে। জার্নাল অব ইনভেস্টিগেটিভ অপথ্যালমোলজি অ্যান্ড ভিস্যুয়াল সায়েন্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই গ্যাসে কর্নিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া এটি হার্ট, ফুসফুস, স্নায়ু ও মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy