E-Paper

বড়তলায় প্রৌঢ়াকে খুনে কালিম্পং থেকে ধৃত পূর্ব পরিচিত

সপ্তাহখানেক আগে রায়বাগান স্ট্রিটে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় মীনাক্ষী ভট্টাচার্য নামে এক প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ। জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল মীনাক্ষীর বছর পনেরোর ছেলেকেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:২৫
An image of Death

—প্রতীকী চিত্র।

বড়তলা থানা এলাকার রায়বাগান স্ট্রিটে প্রৌঢ়াকে খুনের ঘটনায় অবশেষে এক জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃতের নাম সৌমিক চট্টোপাধ্যায়। সে ওই প্রৌঢ়ার পূর্ব পরিচিত বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার রাতে কালিম্পংয়ের একটি অতিথিশালা থেকে সৌমিককে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত জেরায় দাবি করেছে, সে তার প্রাক্তন স্ত্রী ও তাঁর বর্তমান স্বামী-সন্তানকেও খুনের পরিকল্পনা করেছিল।

সপ্তাহখানেক আগে রায়বাগান স্ট্রিটে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় মীনাক্ষী ভট্টাচার্য নামে এক প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ। জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল মীনাক্ষীর বছর পনেরোর ছেলেকেও। দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রৌঢ়াকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পড়েছিলেন তদন্তকারীরা। যদিও লুটের উদ্দেশ্যে যে এই খুন নয়, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে সেই ধারণা করেছিলেন গোয়েন্দারা। এর পরে একাধিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তের নাম পান তাঁরা। শেষে মোবাইলের অবস্থানের সূত্রে কালিম্পংয়ের একটি অতিথিশালা থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমিককে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মীনাক্ষীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সৌমিকের। তবে বছর কয়েক ধরে প্রৌঢ়া তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না। সেই আক্রোশেই তাঁকে বাড়িতে এসে খুন করে সৌমিক। জানা গিয়েছে, হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা ওই যুবক শিলিগুড়িতে গিয়ে বছর দুয়েক আগে বিয়ে করে। সম্প্রতি সৌমিককে ছেড়ে অন্য এক জনকে বিয়ে করেন তার স্ত্রী। তার পর থেকেই রায়বাগানের বাসিন্দা মীনাক্ষীকে ফের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করছিল অভিযুক্ত। কিন্তু মীনাক্ষী রাজি না হওয়ায় সে তাঁকে খুন করে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। খুনের রাতেই মোটরবাইক চালিয়ে সে শিলিগুড়িতে পালিয়ে যায়।

ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, শিলিগুড়িতে প্রাক্তন স্ত্রী, তাঁর স্বামী এবং সন্তানকেও খুনের পরিকল্পনা করেছিল সৌমিক। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘শুধুমাত্র সম্পর্ক ভাঙাগড়ার কারণ, না কি খুনের পিছনে অন্য কারণ আছে, তা দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death police investigation Kalimpong Kolkata Police

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy