Advertisement
E-Paper

মেসির পর এস্কোবার। ‘মিম’ দিয়ে ফের বিতর্কে কলকাতা পুলিশ  

নয়া এই ‘মিম’-এর স্লোগান, ‘সেম সাইড গোল ভুলেও নয়!’ তার মধ্যে ‘সেম সাইড’ অংশটি ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। ‘গোল ভুলেও নয়’ অংশটি বাংলায়। তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার এস্কোবারের সেই আত্মঘাতী গোলের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ১৮:৪৮
কলকাতা পুলিশের নতুন ‘মিম’। ছবি সৌজন্য: কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ।

কলকাতা পুলিশের নতুন ‘মিম’। ছবি সৌজন্য: কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ।

কয়েকদিন আগেই মেসির পেনাল্টি মিসের ছবি দিয়ে ‘মিম’ ফেসবুকে পোস্ট করে বিতর্কের মুখে পড়েছিল কলকাতা পুলিশ। আর্জেন্টিনা ও মেসি ফ্যানদের কাছে রীতিমতো ট্রোল হতে হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ‘মিম’ পোস্ট কলকাতা পুলিশের। এবার কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার আন্দ্রে এস্কোবারের সেই বিখ্যাত ‘সেম সাইড গোল’-এর ছবি দিয়ে। পেনাল্টি মিসের ছবি দিয়ে ওই ‘মিম’-এর উদ্দেশ্য ছিল, পথ সচেতনতা বাড়ানো। আর এবারের লক্ষ্য ড্রাগের নেশার বিরুদ্ধে প্রচার।

নয়া এই ‘মিম’-এর স্লোগান, ‘সেম সাইড গোল ভুলেও নয়!’ তার মধ্যে ‘সেম সাইড’ অংশটি ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। ‘গোল ভুলেও নয়’ অংশটি বাংলায়। তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার এস্কোবারের সেই আত্মঘাতী গোলের। ২৬ জুন আন্তর্জাতিক ড্রাগ বিরোধী দিবস। সেই দিনটিকে মাথায় রেখেই ড্রাগের নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে নতুন এই ‘মিম’ তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করেছে কলকাতা পুলিশ। নিচে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, ড্রাগের নেশা আত্মহত্যারই সমান।

১৯৯৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। ২২ জুন নক আউট পর্বে আমেরিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলছে। মার্কিন মিডফিল্ডারের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে দেন এস্কোবার। ওই ম্যাচে হেরে ওই বছর বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যায় কলম্বিয়া। কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। দেশে ফেরার পর ওই ম্যাচের দশ দিনের মাথায় একটি নাইট ক্লাবের লনে গুলি করে খুন করা হয় এস্কোবারকে। তিন জনের একটি আততায়ীর দল পর পর ছ’টি গুলি করে এস্কোবারকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ‘দ্য জেন্টল ম্যান’ এস্কোবারের। পরে জানা যায়, ওই প্রতিটি গুলি চালানোর সময় ‘গোল’, ‘গোল’ বলে চিৎকার করেছিল আততায়ীরা।

আরও পড়ুন: মেসির পেনাল্টি মিসের সেই ‘মিম’ পোস্টই ভাঙল কলকাতা পুলিশের রেকর্ড

বিশ্বকাপের ইতিহাসে আত্মঘাতী গোলের নজির কম নেই। কিন্তু এস্কোবারের এই আত্মঘাতী গোল এবং তার পরিণামের জন্য বিশ্বকাপের অন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায় হিসাবেই চিহ্নিত হয়। আর এখানেই নেটিজেনদের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলছে, এসকোবারের ওই গোলকেই কেন ‘মিম’-এর জন্য বাছাই করা হল। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৮ বিশ্বকাপেও আত্মঘাতী গোলের নজির রয়েছে। সেগুলির কোনও একটি ব্যবহার করা যেতে পারত। কারণ ওই কলঙ্কিত ইতিহাস ভুলেই যেতে চায় ফুটবলপ্রেমীরা।

কলকাতা পুলিশ অবশ্য এই বিতর্কে ঢুকতে চায়নি। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘পদ্ধতিগত বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মাদক প্রতিরোধের জন্য আগাম নজরদারি, গ্রেফতার, মাদক বাজেয়াপ্ত করা এগুলি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার চেয়েও বেশি জরুরি এই ভয়ঙ্কর অভিশাপের থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করা এবং তাঁদের সচেতন করা। প্রয়োজন মাদকাসক্তদের নেশামুক্ত করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যাপক হারে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। একটি টিম ২৪ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ার উপর কাজ করছে। দলের সদস্যদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে নতুন নতুন ভাবনা-চিন্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করার জন্য।’’

তবে্ নতুন এই ‘মিম’টিতেও ভালই সাড়া পড়েছে। ২৬ জুন সন্ধে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাতশো ‘রিঅ্যাকশন’ এসেছে। ‘শেয়ার’ করেছেন ১২০ জনেরও বেশি। ‘কমেন্ট’-ও করেছেন প্রচুর মানুষ।

আরও পড়ুন: কলম্বিয়া শিবিরে এস্কোবার আতঙ্ক

Kolkata Police Lionel Messi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy