প্রতীকী ছবি
এক জন ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘হোয়েন আই কুইট’। নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন জানিয়ে অন্য জন একটি প্ল্যাটফর্মের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। মঙ্গলবারের দু’টি ঘটনাতেই কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় বাঁচানো গিয়েছে দু’জনকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দুপুরে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলীধর শর্মার কাছে কেউ ফোনে জানান, রিজেন্ট পার্ক থানার বাসিন্দা, পেশায় চিত্রনাট্যকার এক যুবক ফেসবুকে আত্মহত্যার কথা জানিয়েছেন। যুবকের মোবাইল নম্বরও ওই পুলিশকর্তাকে দেন তিনি। যুগ্ম কমিশনার বিষয়টি রিজেন্ট পার্ক থানাকে দেখতে বলেন।
মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে যুবকের বাড়ির ঠিকানা পেয়ে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে দেখে, একসঙ্গে খাবেন বলে অপেক্ষা করছেন ওই যুবকের বাবা-মা। পুলিশকে তাঁরা জানান, ছেলে কাগজ কিনতে যাচ্ছেন বলে অনেক ক্ষণ বেরিয়েছেন। ফোনেও তাঁরা ছেলেকে পাচ্ছেন না। পরিবারের কাছ থেকে সম্ভাব্য গন্তব্যের খোঁজ নিয়েও তাঁকে না পেয়ে মোবাইলের শেষে অবস্থান খুঁজে বার করে পুলিশ। সেখানে গিয়ে একটি দোকানের খোঁজ মেলে, যেটি ওই যুবকই ভাড়ায় নিয়েছেন। দোকানটির মালিকের নম্বর জেনে ফোন করে যুবকের সেখানকার ফ্ল্যাটের হদিস পাওয়া যায়।
পুলিশ ফ্ল্যাটে গিয়ে কোল্যাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ঘর থেকে যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁর পাশ থেকে মেলে কীটনাশক। তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বান্ধবীর সঙ্গে গোলমালের জেরেই যুবক ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, ওই দিনই ফেসবুক থেকে একটি মেল আসে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শান্তনু চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। জানানো হয়, একটি ভিডিয়ো আপলোড করে আত্মহত্যার বার্তা দিয়েছেন এক যুবক। ওই আধিকারিক বিষয়টি কলকাতা পুলিশের সাইবার থানাকে পাঠান। তদন্তে জানা যায় ওই ভিডিয়ো মোবাইল থেকে আপলোড করা। মোবাইলের অবস্থান বার করেও কিছু না মেলায় ফেসবুক অথরিটির পাঠানো ভিডিয়োর জায়গার অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ থেকে জানা যায়, সেটি বেলঘরিয়া এলাকা। দ্রুত বেলঘরিয়া থানাকে সতর্ক করা হয়। যুবকের ফেসবুক ঘেঁটে তাঁর কর্মস্থলের নম্বর পায় সাইবার পুলিশ। সেখান থেকে যুবকের ও মায়ের মোবাইল নম্বর মেলে। এর পরেই পুলিশ গিয়ে বাড়ির বন্ধ ঘর থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলের কর্মী ওই যুবক লকডাউনের পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রেও বান্ধবীর সঙ্গে গোলমালই ছিল কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy