দু’-এক বার নয়! দফায় দফায় বেশ কয়েক বার। পাঁচটি সংগঠনের বিক্ষোভ-অবরোধ-সমাবেশের জেরে কাজের দিনে শহর জুড়ে ব্যাহত হল যান চলাচল।
শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ-এর সমাবেশ, ১০০ দিনের কাজের ‘সুপারভাইজার’দের স্থায়ীকরণ ও বেতনের দাবিতে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সমাবেশ, দেশ জুড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে মৌলালি থেকে ধর্মতলা অঙ্গনওয়া়ড়ি কর্মীদের মিছিল, এবং সবংয়ের উপনির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে অফিসপাড়ায় বিজেপির অবরোধ— এই চার ধাক্কায় শহরবাসীর চরম ভোগান্তি জুটল দিনভর। সন্ধ্যায় এর সঙ্গে যোগ হল বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের মিছিল। ফলে বৃহস্পতিবার দিনভর কলকাতার গতি যানজটে বারবার থমকে গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ-এর সমাবেশ ছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। তার জন্য ১১টার পরে হাওড়া স্টেশন থেকে পরপর চারটি মিছিল শুরু হয়। দু’টি মিছিলের বিক্ষোভকারীরা ব্রেবোর্ন রোড, গণেশ অ্যাভিনিউ ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে সভাস্থলে পৌঁছন। অন্য দু’টি মিছিল মহাত্মা গাঁধী রোড দিয়ে ধর্মতলায় যায়। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারদের মিছিল পৌঁছয় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে। সেখানে রাস্তা বন্ধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ফলে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার জের না কাটতেই আশাকর্মীদের মিছিল রামলীলা ময়দান থেকে ধর্মতলা পৌঁছয়। লালবাজার জানিয়েছে, বিকেলে আবার এফআরডিআই বিলের প্রতিবাদে ধর্মতলা থেকে এন্টালি পর্যন্ত বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি মিছিল বার করে।
পুলিশের দাবি, একাধিক মিছিলের জন্য রাত পর্যন্ত এজেসি বসু রোড, এপিসি রোড, সি আর অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোডে তীব্র যানজট ছিল। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দু’টি লেনই বন্ধ থাকায় হাওড়াগামী সব বাসকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে সাড়ে তিনটে নাগাদ সবংয়ের উপনির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে প্রথমে মহাকরণের সামনে অবরোধ করে বিজেপি। পরে তাদের একটি মিছিল ব্রেবোর্ন রোড ধরে ক্যানিং স্ট্রিটের মোড়ে পৌঁছে ফের অবরোধ করে। এর ফলে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে স্ট্র্যান্ড রোড ও ব্রেবোর্ন রোডে। যা এক সময়ে হাওড়া ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। পুলিশের দাবি, গোটা শহরেই রাত পর্যন্ত যান চলাচল ছিল ঢিমে। পরের দিকে অবশ্য অবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।