দুপুর তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটা। মাত্র দু’ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হল শহরের বিভিন্ন এলাকা। দোসর হিসাবে দেখা দিল যানজট। এই দুইয়ের জেরে নাস্তানাবুদ হলেন অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে পথে বেরোনো মানুষজন।
লালবাজারের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার এই বৃষ্টির জেরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এম জি রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, একবালপুর, বর্ধমান রোড, ক্যামাক স্ট্রিট, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, রিপন স্ট্রিট, আশুতোষ মুখার্জি রোড, এ জে সি বসু রোড, সাহাপুর প্রভৃতি এলাকা জলমগ্ন হয়। জমা জলে গাড়ি চলাচলের গতিও ছিল শ্লথ। পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, এ দিন মানিকতলায় ৩৪ মিলিমিটার, বীরপাড়ায় ৩৭ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৪২ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ৩৯ মিলিমিটার, যোধপুর পার্কে ৩৮ মিলিমিটার, গড়িয়ার কামডহরিতে ৪০ মিলিমিটার, দত্তবাগানে ৩৫ মিলিমিটার, জিঞ্জিরাবাজারে ৫৩ মিলিমিটার ও বেহালায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সব দেখে নাগরিকদের প্রশ্ন, ‘‘অল্প বৃষ্টিতেও শহরের জল-চিত্রের পরিবর্তন হয় না। তা হলে প্রতি বছর পুর বাজেটে মোটা টাকা খরচ করে আখেরে লাভ কী হয়?’’ যদিও পুরসভার নিকাশি দফতরের দাবি, বিকেলে গঙ্গায় জোয়ারের জন্য লকগেটগুলি বন্ধ ছিল। ফলে জল সরতে কিছুটা দেরি হয়েছে ঠিকই। তবে, সন্ধ্যার পরে আর কোথাও জল জমে থাকেনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)