Advertisement
E-Paper

কলকাতার কড়চা: ফেলে আসা সম্পর্ক ছুঁয়ে

দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় নতুন এই প্রযোজনাটি, ‘আমোদিত রোদ্দুর’-এর দুই অর্ধে দুটি নাটক। একটিতে অর্পিতার রূপান্তর ও অভিনয়।

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১৬

সাহিত্য অকাদেমি-র সুবাদে নির্মল বর্মা-র মূল লেখাগুলি পড়েছি হিন্দিতে। গুরুত্বপূর্ণ লেখক তো বটেই, জীবন সম্পর্কে ওঁর দর্শন আমাকে খুব আকর্ষণ করে। বিশেষত সম্পর্কের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অদ্ভুত দিকগুলি খুব ভাল বুনতে পারেন তিনি নিজের গল্পে। এক দিকে সম্পর্কের সম্পর্কহীনতা, অন্য দিকে আবার সম্পর্কহীনতায় সম্পর্কের কথা।’ বলছিলেন অর্পিতা ঘোষ, পঞ্চম বৈদিক-এর কর্ণধার, নির্মলের লেখা ‘ধুপ কা এক টুকরা’-র রূপান্তর করেছেন তিনি, একক অভিনয়ও করবেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় নতুন এই প্রযোজনাটি, ‘আমোদিত রোদ্দুর’-এর দুই অর্ধে দুটি নাটক। একটিতে অর্পিতার রূপান্তর ও অভিনয়। অন্যটি দেবেশের লেখা, তাতে অঙ্কিতা মাঝির একক অভিনয়। ‘দুটো নাটক মিলিয়ে আসলে একটাই নাটক। দুটি মেয়ের সম্পর্ক ছেড়ে চলে যাওয়া বা আসার নাটক, যে সম্পর্কগুলি আদতে বেঁচে থাকে স্পর্শে আর গন্ধে। একটি মেয়ে পার্কে এসে একটি বেঞ্চিতে বসে একটি কল্পিত চরিত্রের সঙ্গে কথা বলে চলে, রোদ্দুরের ছোঁয়া পেতে চায়, সে ছোঁয়ার ভিতর দিয়ে ফেলে-আসা সম্পর্কগুলিও ফের ছুঁতে চায়। এটা অর্পিতার চরিত্র (সঙ্গের ছবিতে)। আর অঙ্কিতার চরিত্রটি ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে আধঘণ্টা ব্যাগ গোছাতে-গোছাতে নানা রকম গন্ধ নিয়ে দর্শকের সঙ্গে কথা বলে, সেই গন্ধগুলি তাকে পুরনো সম্পর্কের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।’ জানালেন দেবেশ। ‘দেবেশের নির্দেশনায় অভিনয় করলে স্পেস পাওয়া যায় একটা, নিজেকে খোলার সুযোগ মেলে, উত্তরণ ঘটে অভিনেতার।’ মনে হয়েছে অর্পিতার, ‘মাছি-র মতো সমাজ-রাজনীতির নাটক প্রযোজনার পর ব্যক্তির নিভৃত সম্পর্ক নিয়ে নিরীক্ষাময় নাটক... বিভিন্ন ধরনের প্রযোজনা মঞ্চে আনতে চাইছি আমরা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সংসৃতি নাট্যগোষ্ঠী।’ ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় অ্যাকাডেমিতে প্রথম অভিনয়।

ছবির সূত্রে

কেরলের সংস্কৃতি আধুনিক মননে কী ভাবে প্রতিভাত হয় তাঁর ছবিতে, এ নিয়েই আদুর গোপালকৃষ্ণনের সঙ্গে কথোপকথন করবেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার মানুষজনের জীবনযাপনের সংস্কৃতির সঙ্গে কেমন ভাবে জড়িয়ে থাকে রাজনীতি, আচারবিচার, রুচি, জলবায়ু, শিল্পের ঐতিহ্য, লোকায়ত ভাবনা— আদুরের ছবির সূত্রে এ সব নিয়েই এগোবে আলোচনা। আদুর (সঙ্গের ছবি) আসছেন কলকাতায়, ৬ এপ্রিল নন্দনে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫-এ ‘দশম কল্পনির্ঝর বার্ষিক বক্তৃতা’ উপলক্ষে এই আয়োজন। আয়োজক ম্যাক্সমুলার ভবনের গ্যেটে ইনস্টিটিউট ও পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র নন্দন-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে কল্পনির্ঝর ফাউন্ডেশন। সে দিন বিকাল সাড়ে ৪টেয় দেখানো হবে ‘পিন্নেইয়াম’, আদুরের সাম্প্রতিকতম ছবিটি। ৪ ও ৫ এপ্রিল নন্দনেই প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাঁর অন্য দুটি ছবি ‘শ্যাডো কিল’ ও ‘ফোর উইমেন’।

মুমুক্ষানন্দ স্মরণে

নীতিনিষ্ঠা, পবিত্রতা, সঙ্ঘের আদর্শে বিশ্বাস। এই সমস্তই তাঁর জীবনে এসে মিলেছিল ভালবাসায়। তাঁর সন্ন্যাস-নামটিতে ‘মুমুক্ষা’ শব্দটি ছিল, মোক্ষলাভের ইচ্ছাকে স্বামী মুমুক্ষানন্দ (১৯২৬-২০১৭) যুক্ত করেছিলেন অবিরল কর্মপ্রাণতায়। কর্মসূত্রে ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের রাজকোট, মুম্বই, অদ্বৈত আশ্রম, নরেন্দ্রপুর, কলকাতায় ‘মায়ের বাড়ি’ শাখাকেন্দ্রগুলিতে, নরেন্দ্রপুরে স্নেহে-শাসনে লালন করেছেন কয়েক প্রজন্মের ছাত্রধারাকে। বহু মানুষের স্মৃতিতে আছে তাঁদের ‘রঞ্জনদা’র শান্ত উচ্চারণে কথা বলা, অন্যের সঙ্কটমুহূর্তে নিজের সুস্থির প্রজ্ঞা থেকে সমাধান বলে দেওয়া। নিজে লিখেছেন কম, সম্পাদনা করেছেন অসংখ্য গ্রন্থ। শাস্ত্র, দর্শন ও রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্যের পরিসরে তিনি ছিলেন মূর্তিমান রেফারেন্স। গত ডিসেম্বরে তাঁর প্রয়াণের পর ছাত্র-অনুরাগীরা তৈরি করেছেন স্বামী মুমুক্ষানন্দ স্মরণ কমিটি, তাঁরাই আয়োজন করেছেন তাঁর নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা। ৩ এপ্রিল বিকাল চারটেয় রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয় নরেন্দ্রপুরে ‘কালিদাসের কাব্যে শিব’ বিষয়ে বলবেন সমীরণচন্দ্র চক্রবর্তী।

ঘরানা-বাহিরানা

খোলা আকাশের গান লোকসঙ্গীত, মুক্ত বাতাসের গান লোকসঙ্গীত, সামাজিক বিভিন্ন পরিবেশ থেকে উঠে আসে এই গানের স্বরূপটি; বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, পরব, শ্রম এই গানের পরিবেশনার পথ দেখায়, তাই এই গানের মূল ধর্ম মুক্ত ও বাঁধনহীন পরিবেশন। আবার অন্য দিকে লোকসঙ্গীত-মহাজনদের নিজস্ব কায়দা, পরিবেশনশৈলী বা বিভিন্ন আখড়ার নিজস্ব ঢং ও তার গুরুত্ব লোকসঙ্গীত পরিবেশনের ক্ষেত্রে কিন্তু একেবারেই কম নয়। অর্থাৎ ‘ঘরানা’। যা পরবর্তীতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিমণ্ডলে এসে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পায়। লোকসঙ্গীত পরিবেশনের ক্ষেত্রে ‘ঘরানা’ ও ‘বাহিরানা’ দুটিরই গুরুত্ব বা ভূমিকা যে অনস্বীকার্য তা পরিবেশনের মাধ্যমে ২৫ মার্চ নিউটাউন রাজারহাট ‘বিশ্ব বাংলা হাট’-এর মুক্তমঞ্চে শ্রোতাদের দেখালেন-বোঝালেন লোকসঙ্গীত গবেষক ও শিল্পী তপন রায়ের ছাত্রছাত্রী-উত্তরসূরিরা। আয়োজনে বাংলানাটক ডট কম।

চলচ্চিত্র উৎসব

স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির এমন দীর্ঘকালীন উৎসব সচরাচর চোখে পড়ে না— ৩০ মার্চ শুরু হয়েছে, শেষ হবে ১০ এপ্রিল। প্রথম সাউথ এশিয়ান শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি-র উদ্যোগে এ-উৎসবের উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু ও অপর্ণা সেন। তথ্যচিত্র বা ছোট কাহিনি-ছবি দেখার অভ্যেস খুবই কম কলকাতার মানুষজনের, শেষ বসন্তে সপ্তাহাধিক কাল সে সুযোগ শহরবাসীকে এনে দিল এ-উৎসব। ‘শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভারত— তিনটি দেশ থেকেই উৎসাহী সাড়া এবং যোগদান। শিকড়ে পৌঁছানো সব ছবি।’ ফেডারেশনের পক্ষে জানালেন উৎসবের সমন্বয়সাধক প্রেমেন্দ্র মজুমদার। সারা ভারত থেকে নির্বাচিত বিচারকবর্গ সেরা ছবি-করিয়েদের বেছে নেবেন। ৯ এপ্রিল নন্দনে পুরস্কৃত পরিচালকদের স্বীকৃতি জ্ঞাপনের পর তাঁদের সংবর্ধনা জানাবে এসআরএফটিআই কর্তৃপক্ষ, নিজেদের ক্যাম্পাসে ১০ এপ্রিল। দেখানো হবে তাঁদের ছবিও।

তুঙ্গভদ্রার তীরে

বিজয়নগরের রাজা দ্বিতীয় দেবরায়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হল— তিনি একের পর এক রাজ্য জয় করেন, আর সেখানকার রাজকন্যাদের বিয়ে করে নিয়ে আসেন। সেবার হল কী, কলিঙ্গ রাজ্য জয় করে কলিঙ্গরাজ ভানুদেবের কন্যা বিদ্যুৎমালাকে বিয়ে করে আনেননি। রাজকুমারী নিজেই তাঁর বোন মণিকঙ্কণাকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা করে তুঙ্গভদ্রা অতিক্রম করে বিজয়নগরের উদ্দেশে রওনা দিলেন। আসার পথে তাঁরা দারুণ ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে পড়েন। ওই নদীপথেই আসছিলেন অর্জুন বর্মা। তিনিই বিদ্যুৎমালাকে নদীতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন, এবং ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে মানসিক সেতু রচিত হয়। বিজয়নগরের রাজা দ্বিতীয় দেবরায় তাঁদের স্বাগত জানান এবং বিদ্যুৎমালার জীবন রক্ষার জন্য অর্জুন বর্মাকে সৈনিক হিসাবে নিয়োগ করেন।— এই ভাবেই এগিয়েছে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক উপন্যাস অবলম্বনে ‘কৃষ্টি’র নতুন নাটক ‘তুঙ্গভদ্রার তীরে’, দেখা যাবে ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায়, তপন থিয়েটারে। নাট্যরূপ, নির্দেশনা ও অভিনয়ে সিতাংশু খাটুয়া।

বাংলার রুমি

ফারসি নিয়ে প্রবেশিকা, ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, আরবি-জানা বাংলাদেশের সৈয়দ আহমদুল হক আজীবন সুফিসাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। সুফিবাদের প্রেমকেই তিনি হৃদয়ে লালন করেছেন। ধর্মের সঙ্গে কর্মের সংযোগ সমন্বয় সাধনের যে আদর্শ, তা ধর্মীয় গোঁড়ামি রহিত ও মানবিক মূল্যবোধের আদর্শে উজ্জীবিত, এমনটাই বিশ্বাস করতেন মুক্তমনা ও মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন সনাতন ধর্মচিন্তক ‘বাংলার রুমি’ সৈয়দ আহমদুল হক। তাঁর নির্বাচিত প্রবন্ধ দু’খণ্ডে সৈয়দ আহমদুল হক রচনাবলি বাংলাদেশের আল্লামা রুমি সোসাইটি প্রকাশ করল কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটিতে। এই উপলক্ষে ‘আন্তঃ-ধর্মীয় সম্প্রীতি ও বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হক’ শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মাহফুজা খানম বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের থাবায় জর্জরিত, তাই সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক মোড়কে না থেকে দুই বাংলার একজোটে এর মোকাবিলা করা দরকার। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বললেন, প্রত্যহ নামাজ পড়তে হয় জানলেও শতকরা নব্বই ভাগের অজানা কী পড়ছেন, কেন পড়ছেন, আর তার শব্দার্থই বা কী।

ওপার বাংলায়

বাংলা থিয়েটারে ‘রাতবিরেতের রক্তপিশাচ’ নাটককে কেন্দ্র করে পুরনো নস্টালজিক ছবিসহ অভিনব বই, কমিকস সবই হয়েছে। বাংলায় আবার স্বমহিমায় দীপক চ্যাটার্জি এবং রতনলাল। সঙ্গে বিখ্যাত সেই তিন দস্যু বাজপাখি, ড্রাগন এবং কালনাগিনীর ভয়ঙ্কর সব কূটচাল। বালুরঘাট, কালিয়াগঞ্জ, মালদহ, পুরুলিয়া, গোবরডাঙা, নৈহাটি, দাঁতন এবং অবশ্যই কলকাতাতেও কয়েকটি অভিনয়ের পর রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে অশোকনগর নাট্যমুখ-এর এই নাটক পাড়ি জমাচ্ছে ওপার বাংলায়। নির্দেশক অভি বলেছেন, ‘এই আমন্ত্রণ আমাদের গর্বিত করেছে।’ পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে লিখে যাওয়া শ্রীস্বপনকুমার ওরফে আদি শ্রীভৃগু কিংবা এস এন পান্ডের এই অন্যরকম গল্পের নাট্যায়ন রীতিমতো সাড়া ফেলেছে দুই বাংলায়। ৫ এপ্রিল এই নাট্যের উনিশতম অভিনয় হবে রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশ থেকে ফিরেই আবার কয়েকটি অভিনয় আছে অন্য রাজ্যসহ বিভিন্ন জেলা ও কলকাতায়। সঙ্গে তারই একটি দৃশ্য।

নিবেদিতা

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। নারীশিক্ষার তিনি পথপ্রদর্শক, কাজ করেছেন ভারতীয় নারীদের মুক্তির জন্যও। স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুর পর ভগিনী নিবেদিতাই তাঁর বাণীর রাজনৈতিক-সামাজিক তাৎপর্যকে বাঁচিয়ে রাখেন। এ বার তাঁর জন্মের দেড়শো বছর উপলক্ষে আজকের প্রজন্মের কাছে তাঁর কাজের গভীরতা— ‘নবজাগরণ’ ও ‘নারী স্বাধীনতা’— এই দুই বিষয়কে তুলে ধরার তাগিদে বিবেকবাণী স্টাডি সার্কল এবং মেঘদূত ব্যালে ট্রুপ ৬ এপ্রিল, ৫টা ৪৫-এ রবীন্দ্রসদনে আয়োজন করেছে ‘সিস্টার ফর এভার’ শীর্ষক এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত নির্দেশনায় সৌরেন্দ্র এবং সৌম্যজিৎ, ভাষ্যপাঠে হর্ষ নেওটিয়া, মুখ্য চরিত্রে অনিতা মল্লিক, দৃশ্যগত নির্দেশনা সুকল্যাণ ভট্টাচার্য এবং কোরিয়োগ্রাফি করেছেন শুভাশিস দত্ত।

সংরক্ষণ নিয়ে

সংগ্রহশালা বিদ্যাচর্চা প্রথম শুরু হয় ভাদোদরায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিদ্যাচর্চাও দেখতে দেখতে পেরিয়ে এল ষাট বছর। এই হীরক জয়ন্তীকে মনে রেখেই গত ২৩-২৪ মার্চ হয়ে গেল জাতীয় স্তরের একটি আলোচনাসভা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়োলজি বিভাগ, ভারতীয় সংগ্রহশালা, রাজ্য হেরিটেজ কমিশন, ইন্দিরা গাঁধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টস, লখনউ-এর সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং বাংলা নাটক ডট কমের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। ‘কনজারভেশন অব হেরিটেজ, হেরিটেজ অব কনজারভেশন’ শীর্ষক এই সভায় বললেন নানা বিশিষ্ট জন। ‘সংগ্রহশালা বিদ্যাচর্চায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি যোগসূত্র গড়ে দেওয়ার জন্যেই এই আয়োজন’ বলে জানালেন মিউজিয়োলজির বিভাগীয় প্রধান সুপ্রিয় চন্দ।

আত্মপ্রকাশ

তিনি ১৯৭৪ সালে হায়ার সেকেন্ডারিতে তৃতীয়, মেয়েদের মধ্যে প্রথম। গায়িকা হিসাবেই তিনি বেশি পরিচিত। কিন্তু তাঁর একটা আলাদা পেশা আছে এবং আছে সংশ্লিষ্ট জগৎও; অধ্যাপনা। ছোটবেলা থেকেই তিনি রেডিয়োর পোকা। ‘অনুরোধের আসর’ এবং ‘ছায়াছবির গান’-এ তাঁর কান পাতা চাই-ই চাই। গানের প্রথম লাইন খাতায় লিখে-লিখে অনুরোধের আসর শুনতেন। ভাল গানের উপর পড়ত টিক চিহ্ন, আর খুব পছন্দের গানের উপর পড়ত ডবল টিক। বাড়ির বড়রা ভুল করেননি তাঁর প্রতিভা চিনতে। তাই হায়ার সেকেন্ডারির রেজাল্ট বেরোতেই বাবা তাঁকে কিনে দিলেন, একসঙ্গে তিনটে এলপি রেকর্ড— লতা মঙ্গেশকরের গীতাস্তোত্র, তৎকালীন উষা আইয়ারের ‘স্কচ অ্যান্ড সোডা’, এবং রফির কয়েকটি ফিল্মি রোম্যান্টিক গানের সংকলন। ক্লাস ফাইভ থেকেই বিভূতি দত্তের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম শুরু করেন ইন্দ্রাণী সেন। শিখেছেন দেবব্রত বিশ্বাস, পূরবী দত্ত, বিমান মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রবাদপ্রতিম শিল্পীদের কাছে। অর্থনীতিতে পি এইচডি, ছত্রিশ বছর ধরে বাগবাজার উইমেন্স কলেজের অধ্যাপিকা ইন্দ্রাণীর সঙ্গীতের প্রায় সব ক্ষেত্রেই অনায়াস বিচরণ। তৈরি করেছেন সাংস্কৃতিক শাখা ‘দিশা’, যেখানে চলছে শিল্পী গড়ার কাজ। এবার এই শিল্পীর বর্ণময় জীবন নিয়েই অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র ‘জার্নি’, ১ বৈশাখ ‘অরিজিৎ অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল’-এ যার আত্মপ্রকাশ ঘটবে।

Drama Relations Kolkatar Korcha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy