Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Kolkatar Korcha

কলকাতার কড়চা: নতুন তথ্যের আলোয়

হাটখোলার দত্ত পরিবারের সন্তান প্রাণকৃষ্ণের প্রথম সাহিত্যকৃতি অবশ্য তাঁর তরুণ বয়সে (১৮৬৯) লেখা প্রহসন বদমায়েস্‌-জব্দ।

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪১
Share: Save:

ইতিহাস বইয়ের মধ্যে ছড়া? “ক্ষেতের বেগুন বিলের মাছ, তাই খেয়ে খেয়ে ভোঁদড় নাচ...” দেখে আশ্চর্য লাগতে পারে। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য পরিস্থিতি বোঝাতে এমন দেশীয় উপাদানের ব্যবহারেই প্রাণকৃষ্ণ দত্তের (১৮৫১-১৯০৯) স্বাতন্ত্র্য। শহরের ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করেই কলকাতার চর্চার মূল ধারা গড়ে উঠেছিল। সেই অভিমুখ দেশীয় মানুষের জীবনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটি শুরু করেন প্রাণকৃষ্ণ। এমন লেখা আগেও হয়েছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কিন্তু ১৩০৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন থেকে ১৩১০-এর মাঘ পর্যন্ত নব্যভারত পত্রিকায় ‘কলিকাতার ইতিবৃত্ত’ শিরোনামে যে চোদ্দোটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন প্রাণকৃষ্ণ দত্ত, তার বিশিষ্টতা অনন্য— প্রাক্‌-চার্নক যুগ থেকে শুরু করে কলকাতার নানা এলাকার পরিচয়, প্রাচীন পরিবারের ইতিহাস, খাওয়াদাওয়া, উৎসব, আমোদ, সামাজিক রীতি ও আচার সংক্রান্ত বহু তথ্যের সেই প্রথম একত্র প্রকাশ।

হাটখোলার দত্ত পরিবারের সন্তান প্রাণকৃষ্ণের প্রথম সাহিত্যকৃতি অবশ্য তাঁর তরুণ বয়সে (১৮৬৯) লেখা প্রহসন বদমায়েস্‌-জব্দ। তার প্রেক্ষাপট ছিল বারবনিতাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রবর্তিত চোদ্দো আইন, সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতার সমাজচিত্র ধরা পড়ে সেখানেও। এর পর ক্রমে তাঁর ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ, প্রচারকাজে বাংলা, ওড়িশা, অসম ভ্রমণ। তাঁর ভ্রমণকথা প্রকাশিত হত ব্রাহ্ম সমাজের মুখপত্র ধর্মতত্ত্ব পত্রিকায়। কলিকাতার ইতিবৃত্ত তাঁর শেষ বয়সের, খানিক স্মৃতি রোমন্থনের মেজাজে লেখা। ১৯৮১ সালে বই আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় কলিকাতার ইতিবৃত্ত, গ্রন্থভূমিকায় প্রাণকৃষ্ণ দত্তকে বাংলা ভাষায় কলকাতার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার পথিকৃৎ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নিশীথরঞ্জন রায়। বই প্রকাশের আগেই প্রাণকৃষ্ণের মূল লেখাগুলির সঙ্গে পরিচয় ছিল লেখক-গবেষক দেবাশিস বসুর। প্রাণকৃষ্ণের আরও কিছু লেখা যোগ করে, তাঁর সম্পাদনায় কলিকাতার ইতিবৃত্ত ও অন্যান্য রচনা প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে তিন দশকেরও বেশি সময়, এর মধ্যে জানা গিয়েছে আরও নতুন তথ্য। আজ বিকেল ৫টায় মহাবোধি সোসাইটি সভাগৃহে পুস্তক বিপণি-র উদ্যোগে প্রকাশিত হবে দেবাশিস বসু সম্পাদিত কলিকাতার ইতিবৃত্ত ও অন্যান্য রচনা-র সটীক, পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ (প্রকা: পুস্তক বিপণি), সঙ্গী ‘পুরনো কলকাতার গল্প’ সোসাইটি। বইটি প্রকাশ করবেন ইতিহাসবিদ গৌতম ভদ্র, থাকবেন অনুপ মতিলাল, সৌমিত্র শ্রীমানী-সহ বিশিষ্টজন।

এই সংস্করণে টীকা অংশে প্রচুর নতুন তথ্য যোগ হয়েছে। প্রাণকৃষ্ণ দত্তের জীবনী অংশে উঠে এসেছে তাঁর সঙ্গে কালীপ্রসন্ন সিংহের সম্ভাব্য যোগাযোগের প্রসঙ্গ; অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ‘মদালসা’ শিরোনামে প্রাণকৃষ্ণের একটি দুষ্প্রাপ্য রচনা। আগের সংস্করণের ছবির সঙ্গে এ বারে যোগ হয়েছে এমন বহু ছবি যা পাঠকের স্বল্পপরিচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নব্যভারত পত্রিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা মূলানুগ পাঠ মুদ্রিত হল এ বারেই প্রথম। ছবিতে উনিশ শতকের সাহেবি স্কেচে চিৎপুর (উইকিমিডিয়া কমনস থেকে), মাঝখানে প্রাণকৃষ্ণ দত্তের ছবি।

গীতাম্বুধি’

শৈলজারঞ্জন মজুমদার শান্তিনিকেতনে প্রথমে গান শেখেন দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে। কিছু দিন পর দিনু ঠাকুর চলে গেলেন, ছাত্রের গান শেখা বন্ধ। গুরুদেবের কানে গেল, বললেন, তুমি আমার কাছে এসো। এক দিনও ক্লাস কামাই হয়নি। রবীন্দ্রনাথ হয়তো দাওয়ায় বসে গল্পে রত, দূর থেকে শৈলজারঞ্জন আসছেন দেখে বলতেন, “ওই আসছেন গীতাম্বুধি, এবার আমার চাকরি শুরু হবে।” রবীন্দ্রনাথের কাছে নিয়মিত গান শেখা, পরে তাঁর গান শেখানোই জীবনব্রত হল যাঁর, তিনি যে পরে সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ হবেন, আশ্চর্য কী। রবীন্দ্রসঙ্গীতের কৃতী বহু কণ্ঠ তাঁরই ছাত্রছাত্রী। রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চাকারী সংস্থা ‘কথা ও সুর’ শৈলজারঞ্জন মজুমদারের (ছবি) ১২৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করছে আজ সন্ধে সাড়ে ৬টায় উত্তর কলকাতায় বীরেন্দ্র মঞ্চে: প্রেম ও বর্ষার গীতি-আলেখ্যে, পরে সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়ের গানে।

স্মরণে

মুক্তিযুদ্ধের সময় বনগাঁ সীমান্তে কলেরাক্রান্ত অজস্র মানুষকে নুন-চিনি-বেকিং সোডার জল খাইয়ে বাঁচানো। দিলীপ মহলানবিশের হাত ধরেই স্বীকৃতি পায় ‘ওআরএস’। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়া ও ইনটার্নশিপ, উচ্চশিক্ষা লন্ডন ও এডিনবরায়, কুইন এলিজ়াবেথ হসপিটাল ফর চিলড্রেন-এ রেজিস্ট্রার পদে তিনিই প্রথম ভারতীয়। আমেরিকায় জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ফেলো হন, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এই প্রতিষ্ঠানের চলা আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে যোগ দিয়ে শুরু করেন ওআরএস নিয়ে গবেষণা। তার পরেই ঘটে সেই ১৯৭১। আগামী ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় সরলা মেমোরিয়াল হল-এ লিভার ফাউন্ডেশন-এর আয়োজনে ‘দিলীপ মহলানবিশ স্মারক বক্তৃতা’, বলবেন বিশিষ্ট স্বাস্থ্য গবেষক-বিজ্ঞানী রিচার্ড ক্যাশ। দেখানো হবে তথ্যচিত্রও।

ফিরে দেখা

জীবনকালেই অধ্যাপক রণজিৎ গুহ তাঁর অনন্য ভাবনা ও রচনার জন্য বহুল-আলোচিত ছিলেন, তাঁর প্রয়াণের পর সে আলোচনা বিস্তৃততর হয়েছে। তাঁর প্রথম গবেষণা অর্থনৈতিক ইতিহাস ঘিরে শুরু হলেও সারস্বত চর্চার নানা শাখায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁর মেধাচিত্রে দর্শন-সমাজতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব-সাহিত্যের যে সমাবেশ ঘটেছে, তা কি নিছক ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি? কী ভাবেই বা তাঁর স্ব-পরিচালিত, পরে খানিকটা তাঁর ভাবনা-আলোকিত কিন্তু অনেকাংশে সম্প্রসারিত, এবং সর্বশেষে পরিত্যক্ত নিম্নবর্গের ইতিহাস রচনাকালকে ফিরে দেখব আমরা? পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ ও এশিয়াটিক সোসাইটি-র উদ্যোগে ২২ জুলাই সোসাইটির বিদ্যাসাগর হল-এ হয়ে গেল ‘স্মরণে-মননে রণজিৎ গুহ’ অনুষ্ঠান, বললেন অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপনকুমার প্রামাণিক সুকান্ত চৌধুরী রঞ্জিত কুমার সেন সুভাষরঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ।

মঞ্চে নতুন

২০০৩ থেকে শুরু, গত দুই দশকে কুড়িটি নাট্যপ্রযোজনা মঞ্চে এনেছে আভাষ নাট্যদল। দুই দশক পূর্তি তারা উদ্‌যাপন করছে নতুন নাটকে, আগামী ৪ অগস্ট সন্ধ্যায় তপন থিয়েটারে, ক্যানভাসার-এর অভিনয়ে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প ‘ক্যানভাসার কৃষ্ণলাল’ নাটকের শিকড়, তবে সত্তর দশকের অস্থির কলকাতা ও তার রাজনৈতিক ভাষ্যও এ নাটকে অন্তঃসলিলা, দর্শক চমকিত হবেন। নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় শেখর সমাদ্দার। অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৫টায়, খালেদ চৌধুরী নামাঙ্কিত সম্মাননায় ভূষিত হবেন আলোকশিল্পী বাদল দাস। প্রয়াত নাট্যকর্মী শান্তনু গুপ্ত স্মরণে আব্দুল কাফি বলবেন ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য নন্দনতত্ত্ব’ নিয়ে।

রক্তকরবী ১০০

১৩৩০ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন রক্তকরবী, প্রবাসী-তে বেরোয় পরের বছর। এ নাটকের অস্তিত্ব শঙ্খ ঘোষের ভাষায় ‘সাম্প্রতিক কাল থেকে চিরন্তন কালে’। সে সূত্রেই গৌতম হালদার বলছিলেন: “আমরা এমন এক ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে যাপন করছি যা তুলনীয় রক্তকরবী-র যক্ষপুরীর সঙ্গে, আমাদের রাষ্ট্রপেষণ, সমাজশোষণ, হিংসা, ঘৃণা, সব আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো এ নাটকে, আর আছে মুক্তির বৈপ্লবিক প্রয়াস। একশো বছর আগে লেখা এ নাটক আমাদের সুযোগ করে দিল এই সময়কে মেলে ধরার।” গৌতমের মঞ্চসজ্জা ও নির্দেশনায় রক্তকরবী-র প্রথম অভিনয় রবীন্দ্রসদনে, আজ সন্ধ্যা ৭টায়, নন্দিনীর ভূমিকায় চৈতি ঘোষাল। ‘ক্যালকাটা ক্লাসিক ফাউন্ডেশন’-এর নিবেদন, প্রযোজনায় ‘শিশিক্ষু’।

সরস শতবর্ষ

সময় গিয়েছে বদলে। বাঙালির শিশুজীবনেও শুধু দৌড়ে চলার হিসাব এখন; বই, বিশেষ করে বাংলা বই থেকে মুখ ঘোরানো, বিনোদনের হাঁ-মুখ চলেছে বেড়ে। বঙ্গসাহিত্য-ভান্ডারে শিশুদের জন্য যে রসের ছড়াছড়ি, সুকুমার রায় ছুঁলেই বোম্বাগড়ের রাজা, হুঁকোমুখো হ্যাংলা, কাঠবুড়ো, কাতুকুতু বুড়ো থেকে কুমড়োপটাশ সব্বাই পেটে খিল ধরিয়ে ছাড়ে, সে সম্পদ ছোটরা পাচ্ছে কই! দেখতে দেখতে এরই মধ্যে একশো বছর পূর্ণ করছে আবোল তাবোল। আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র ‘ঐকান্তিকা’-র আয়োজনে তারই উদ্‌যাপন আগামী কাল ৩০ জুলাই বিকেলে, শরৎচন্দ্র-বাসভবনে। বলবেন দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত মানসপ্রতিম দাস ও দেবাশিস মুখোপাধ্যায়; সুকুমার রায়ের রচনা থেকে ছোটরা করবে আবৃত্তি আর গান— বাঙালির চিরচেনা উদ্ভটরস আর অসম্ভবের ছন্দ আর এক বার চেখে দেখা। ছবিতে সুকুমার রায় জন্মশতবর্ষে ১৯৮৭ সালে ‘সুকুমার মেলা’-য় সত্যজিৎ রায়।

নবাবিয়ানা

এ শহরে ওয়াজিদ আলি শাহের (ছবি) ‘উত্তরাধিকার’ বলতে আমরা শুধু ‘কলকাত্তাই বিরিয়ানি’র কথা বলি। তা ছাড়াও যে শহরের সংস্কৃতিতে মেটিয়াবুরুজের নবাবের প্রবল প্রভাব, সে কথা সাধারণ্যে আবছা। নবাবের মৃত্যুর পর মেটিয়াবুরুজের রাজকীয় সৌধগুলি ডক-পাটকল-কুলি ঘাটের এক পাঁচমিশালি শহরতলিতে রূপান্তরিত হয়। লখনউয়ের অনন্য ‘তেহজ়ীব’ নিয়ে জেগে থাকা এই এলাকা বাকি শহরের কাছে আজও ঢেকে অপরিচয়ের আড়ালে। ওয়াজিদ আলি শাহের জন্মদ্বিশতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে, ‘ইনটাক’ হুগলি চ্যাপ্টার’ ও ‘নো ইয়োর নেবার-এর উদ্যোগে সেই অপরিচয় মুছতে গত ২২ জুলাই ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে হল অনুষ্ঠান— আলোচনা, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, নবাবের জীবনীকেন্দ্রিক চিত্রপ্রদর্শনী। চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা, নাচ-গান সাহিত্য চর্চা এবং কলকাতার খাদ্য-সংস্কৃতিতে ওয়াজিদ আলি শাহের নানা অবদানের কথা উঠে এল সেই সূত্রে।

যাত্রাপথ

আঠারো বা উনিশ শতকের প্রথম দিকে স্থাপিত কলকাতার কোনও মন্দিরের প্রতিষ্ঠাফলক দেখেছেন? সাধারণের পক্ষে পড়া মুশকিল, কারণ অক্ষরগুলি বাংলা হরফের দীর্ঘ এক যাত্রার অংশ, অনেকটাই অজানা। ব্রাহ্মী, খরোষ্ঠী, সিদ্ধমাতৃকা, গৌড়ী, প্রোটো-বাংলা লিপি হয়ে ছাপার যুগে প্রবেশ করেছে বাংলা অক্ষরমালা, অথচ লিপি খোদাইয়ের শিল্প (ক্যালিগ্রাফি) ও শিল্পীদের সম্পর্কে জানা যায় কম তথ্যই। পঞ্চানন ও মনোহর কর্মকার, গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্নের ছাপাখানা ছাড়া অন্য হরফশিল্পীদেরও অনুসন্ধান প্রয়োজন, প্রথম দিকের হরফের চেহারায় পুঁথি-লিখনশৈলীর প্রভাবও দেখা দরকার। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সভাগৃহে গত ২৪ জুলাই ক্যালিগ্রাফি থেকে উনিশ শতকে বাংলা অক্ষরমালার যাত্রার এমনই কিছু সূত্র ধরিয়ে দিলেন টেগোর ন্যাশনাল স্কলার, লেখক-গবেষক ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkatar Korcha Job Charnock
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE