প্রতীকী ছবি
বিধাননগর পুর এলাকায় করোনার দৌড় অব্যাহত। পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার পেরিয়েছে। জুন মাসের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৫০। কিন্তু জুলাই মাসের শুরু থেকে অগস্টের শুরু, এই এক মাসের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে ২ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে সচেতনতার অভাব এবং নিয়ম না মানার প্রবণতাকেই দায়ী করছে পুরসভা। সেই কারণে বিধাননগর পুর এলাকায় সচেতনতার প্রচারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
তবে সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি করোনা নিয়ে ভয় এবং বাস্তব পরিস্থিতির চাপে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের দাবি। রবিবার একটি বাজারে এক মহিলা দোকানে বসে ছিলেন। পুরসভা জানতে পারে, তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। কিন্তু ওই মহিলার বাড়িতে তাঁর মেয়ে ও মেয়ের সন্তান রয়েছে। তাই তিনি নিজে বাড়িতে থাকলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এই ভয়ে দোকানে গিয়ে বসে ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে হস্তক্ষেপ করেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ওই মহিলাকে বুঝিয়ে সেফ হোমে পাঠানো হয়। অন্য দিকে, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সও পৌঁছে যায় তাঁর বাড়িতে। কিন্তু তিনি হাসপাতালে যেতে চাননি। পরে তাঁকে অনেক বুঝিয়ে হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হয়। ওয়ার্ড কমিটি সূত্রের খবর, সেখানে ঘিঞ্জি জনবসতি রয়েছে। অনেকেই সাধারণ শৌচালয় ব্যবহার করেন। ওই ব্যক্তিও তার ব্যতিক্রম নন। ফলে সংক্রমণ এড়াতে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো জরুরি ছিল।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। লাগাতার সচেতনতার প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy