প্রতীকী ছবি।
পুলিশ সেজে তোলাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার মামা-ভাগ্নে। ধৃত ভাগ্নে আবার কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার! ঘটনাটি ঘটেছে লেক থানা এলাকার যোধপুর গার্ডেনে। অভিযুক্ত ওই এলাকার তৃণমূল নেতা এবং বিদায়ী মেয়র পারিষদ রতন দে-কেও পুলিশ পরিচয়ে ফোন করে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে অভিযুক্তরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে লর্ডস মোড়ের কাছে এক বাইক আরোহীর মোটর বাইকের নথি পরীক্ষা করে। এর পর সেই বাইক আরোহীকে জানায় নথিতে গন্ডগোল আছে এবং ২ হাজার টাকা দাবি করে। বাইক আরোহী যুবক স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, বাইকের আরোহী বিশ্বনাথ সিংহের সন্দেহ হয় এবং তিনি টাকা দিতে রাজি হন না। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে স্থানীয় আরও কিছু বাসিন্দা জড়ো হয়ে যায়। ফাঁক বুঝে চম্পট দেয় পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই যুবক।
অন্যদিকে ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং বিদায়ী মেয়র পারিষদ রতন দে এ দিন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এক যুবক তাঁকে ফোন করে। সে নিজেকে কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ ডিভিশনের দেহরক্ষী বলে পরিচয় দেয়। রতনবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই যুবক প্রথমে আমার কাছে একটি বিষয় মীমাংসার জন্য ফোন করে। আমি বলি এটা পুলিশের বিষয়। পুলিশকে জানান। তাতে ওই যুবক আমাকে হুমকি দিতে থাকে।” এর পরই গোটা ঘটনা স্থানীয় থানায় জানান রতনবাবু।
আরও পড়ুন: পর পর জঙ্গি হানা বিজেপি নেতাদের উপর, দল ছাড়ার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীরে
পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে তাঁরা বিশ্বনাথ সিংহের অভিযোগ পান যে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর কাছে টাকা চেয়েছিল। দুটি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশ একই যুবককে চিহ্নিত করে। লেক থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সন্তু সরকার। তদন্তে জানা যায়, সন্তু এবং তাঁর মামা শ্যামল বিশ্বাস এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে নিজেদের গাড়িতে পুলিশ স্টিকার আটকে ঘুরত। রতন বাবু জানিয়েছেন, লর্ডস এলাকায় শ্যামল বিশ্বাস ইমারতি মালপত্র সরবরাহ করে। ওই এলাকার একটি বেআইনি পার্কিংও চালায় ওই মামা-ভাগ্নে। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এখন আর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে না সন্তু। আগে করলেও, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দাবি এক পুলিশ আধিকারিকের।
আরও পড়ুন: রিয়াকে ফের ডাকল ইডি, রাতভর জেরা ভাই শৌভিককে
পুলিশ শনিবার রাতেই গ্রেফতার করে মামা-ভাগ্নে দু’জনকেই। রবিবার দু’জনকে আদালতে পেশ করা হলে দু’জনকেই জামিন দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy